গ্রাম বাংলা ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে হামিদুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি শহীদ হয়েছেন।
নিহত হামিদুর রহমানের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের উত্তর মিরেরচর (মাঝপাড়া) গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল হান্নান। তারা সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন শহীদ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
হামিদুরের নিহতের খবরটি সামহোয়ার ইন ব্লগে পোস্ট করেন হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী নামের এক ব্লগার। তিনি লিখেছেন, দীর্ঘদিন ধরে হামিদুর সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন৷ সেখান থেকে সরাসরি ১০ জনের একটি দলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন৷ প্রায় দুই মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে তিনি যুদ্ধে যান বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করেছে৷ যুদ্ধকালে ঈদুল ফিতরের আগের দিন তিনি মারা গেলে তার সহকর্মীরা হামিদুরের পরিবারকে টেলিফোনে তার মৃত্যু সংবাদ জানান৷
খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোতে তোলপাড় শুরু হয়। খবর প্রকাশিত হয় জার্মান রেডিও ডয়েচে ভ্যালের অনলাইন পাতায়।
এ ব্যাপারে আমাদের বিশ্বনাথ সংবাদদাতা এমদাদুর রহমান মিলাদ হামিদুরের গ্রামের বাড়িতে যোগাগোগ করলে তার চাচা আব্দুল মনাফ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, তার ভাই আব্দুল হান্নান (হামিদুর রহমানের পিতা) দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ শহরে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন। হামিদুর রহমান প্রায় ৫ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্মভীরু এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি।
হামিদুর রহমানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস আগে পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ১০ জনের একটি দলের সাথে তিনি সিরিয়া যান।
যুক্তরাজ্য থেকে চলে যাওয়ার পর রেখে যাওয়া একটি চিঠি পড়ে তার পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর থেকে তার সাথে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিলো না।
গত বুধবার কেউ একজন ফোন করে হামিদুর রহমানের বাবাকে জানায়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধ করে হামিদ নিহত হয়েছেন।
হামিদুরের শহীদ হওয়ার খবর পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কুলখানি করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান।