টঙ্গীতে পাঠাও চালক রিফাত হত্যার বিচার দাবীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

Slider গ্রাম বাংলা

টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: টঙ্গীর এরশাদ নগরে পাঠাও চালক রিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এক ঘন্টা অবরোধ করেছে।

বুধবার(৭জুন) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর এরশাদ নগরে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমমবার এরশাদ নগরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর রিফাতের লাশ তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়া খুনীরা। মঙ্গলবার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রিফাতের পরিবারের সদস্য সহ এলাকাবাসী এরশান নগর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে নানা ধরণের শ্লোগন দেয়। তারা
১২ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

সংবাদ পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফূল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে বিচারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে চলে যায়। এরপর ওসি নিহতের বাসায় গিয়ে পরিবারকে সান্তনা দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেপ্তারের অঙ্গীকার করেন।

নিহতের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় টঙ্গীর এরশাদ নগর ২ নম্বর ব্লক এলাকার থেকে একই এলাকার কাজল ও সোহাগ বাসায় এসে রিফাতকে ডেকে নেয়। পরে রিফাতকে বলে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় যেতে হবে। রিফাত তাদের কথায় তাদের সাথে বাসা থেকে বের হয়। রাতে কাজল ও সোহাগ বাসায় আসলেও রিফাত আর বাসায় ফেরেনি। মঙ্গলবার দিনভর খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রিফাতের মোটরসাইকেলে লাগানো জিপিআরএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় মোটরসাইকেলটি আছে বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, পলাশোনা এলাকায় লোক পাঠিয়ে মোটরসাইকেল পাওয়া যায় কিন্তু ছেলে রিফাতকে পাওয়া যায়নি। ওই দুইজন আমার ছেলে রিফাতকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে
দিয়েছে বলে ধারনা করছেন তিনি।

গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পরে গাছা থানার পুলিশ খোঁজাখুজি করে। পরে ফায়ায় বিগ্রেডের লোকজনের সহযোগীতায় বিকেলে নদীর মাঝক্ষান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নৌ পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি জানা পর তারাও আসে। নিহত রিফাতের পরিবারের লোকজন তার পরিচয় শনাক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। নৌপুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসী বাসীর বক্তব্যে জানা যায়, কাজর ও সোহাগ সন্ত্রাসী। মাদক ব্যবসা ও সেবনসহ চুরি ছিনতাই করে থাকে তারা। তাদের অত্যাচারে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারতোনা। রিফাত খুবই ভালো ছেলে। আসামী কাজল ও সোহগের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তারা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে রিফাতের লাশ বাসায় নেয়া হয়েছে। তার ভাই ও মা বিদেশ থেকে ফেরার পর কাল বৃহসপতিবার লাশ দাফন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *