যশোর সদর উপজেলায় ৭ ও ১০ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া দুই শিশু ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুই কিশোরকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ৭ বছর বয়সী শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম ও ১০ বছর বয়সী শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে ৭ বছর বয়সী শিশুটি বাড়ির পাশে মুদিদোকানে মিষ্টি কিনতে যায়। এ সময় দোকানে দোকানদার ছিলেন না। এই সুযোগে দোকানদারের কিশোর ছেলে মেয়েটিকে কৌশলে তাদের বাড়ির নির্মাণাধীন একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে ওই কিশোর পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আজ ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে শিশুটি এখন বাড়িতে আছে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আজ কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের একটি মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন।
এদিকে গত ২৬ অক্টোবর বিকেলে ১০ বছর বয়সী এক শিশু প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলতে যায়। এ সময় বাড়ির সদস্য এক কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। মীমাংসা না হওয়ায় গতকাল রাতে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা করেন। আজ শিশুটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, দুই কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজনের কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।