বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মানছুর শেখ (৩৫) নামের এক ব্যক্তিতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৈলপুর বাজারের পাশে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামের শেখ আবদুল বারেকের ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, নিহত মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া একটি মামলায় মানছুরকে ১০ বছরের সাজাও দিয়েছেন আদালত। তিনি পলাতক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বৈলপুর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার সময় পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তবে কী কারণে এবং কারা তাঁকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার পর বৈলপুর বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হোগলাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম নান্না ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘বৈলপুর বাজারের রাস্তায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন আমাকে খবর দেয়। আমি সেখানে গিয়ে দেখি তাঁর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পরে আমি পুলিশকে খবর দিই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈলপুর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ৬/৭ জন লোক আনুমানিক বিকেল ৫টা ১০মিনিটের দিকে ধারালো অস্ত্র হাতে বাজারে আসেন। তাঁরা হঠাৎ করে সামনে একজন লোককে পেয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় লোকটি রাস্তার ওপরে পড়ে গেলে তাঁর গলায় কোপ দিয়ে চলে যান। এ ঘটনা দেখে বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যান।
মোরেলগঞ্জ থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) তারক বিশ্বাস জানান, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মানছুর শেখ ঘটনাস্থলেই মারা যান। মানছুরকে কারা কী কারণে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।