দিনের সেরা পারফরমারের আসার কথা সংবাদ সম্মেলনে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দলে পারফরমার খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাই বলে মুশফিকুর রহিমকে নিশ্চয়ই কেউ আশা করেননি আজ। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন বাংলাদেশ অধিনায়কই।
টস জিতে এই টেস্টেও ফিল্ডিং নিয়েছেন মুশফিক। ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালের উইকেটে বোলাররা বাউন্স পেতে পারেন। শুরুর দিকে বল এদিক-সেদিক হতে পারে। এটা ভেবেই হয়তো বাংলাদেশ অধিনায়কের এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু মুশফিকের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি বোলাররা। হতাশ কণ্ঠে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক তাই বললেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে টসে জেতাই ভুল হয়ে গেছে ভাই! অধিনায়ক হিসেবে চেষ্টা করছি সততার সঙ্গে সব পালন করতে। এ দুই টেস্টে মনে হচ্ছে টস হারলে ভালো হয়। আগে কখনো এটা মনে হয়নি! এটা হয়তো আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। হয়তো দলকে ওভাবে উৎসাহিত করতে পারছি না বা বোলারদের দিকনির্দেশনা করতে পারছি না। এটা আমার ব্যর্থতা। বোলাররা চেষ্টা করেছে, হয়নি।’
উইকেটে যেটুকু সুবিধা আছে, মুশফিক তাঁর বোলারদের সেটার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের সুযোগ দিতে চেয়েছেন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে অধিনায়কের কী করার আছে? পচেফস্ট্রুম টেস্টের পর যেভাবে বোলারদের ধুয়ে দিয়েছিলেন, আজ ততটা কড়া না হলেও মুশফিকের কথার চাবুক থেকে রেহাই মেলেনি মোস্তাফিজদের, ‘আমার ব্যর্থতা বলতে পারেন। আমি হয়তো তাদের ঠিকঠাক বার্তা দিতে পারিনি। আমাদের যে বোলিং কোচ আছেন, তিনি তো আর নিজে বোলিং করতে পারবেন না। তিনি প্রায় প্রতিদিনই নেটে বোলিং করেন। তার একটা বল মিড অন-মিড অফে আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখনো খেলতে পারে না! কেউ যদি এটা শিখতে না পারে, সেটা কাজে লাগতে না পারে, এটা শুধু ব্যর্থতাই বলব। অনেক বড় সুযোগ ছিল। মুভমেন্ট খুব একটা না থাকলেও অন্তত নতুন বলটা কাজে লাগাতে পারলে দ্রুত ২-৩ উইকেট পেয়ে যেতে পারতাম।’
অধিনায়ক হয়ে আজ প্রথম এবং দ্বিতীয় সেশনের অনেকটা সময় মুশফিক ফিল্ডিং করেছেন বাউন্ডারিতে। কিপিং গ্লাভস জোড়া লিটনের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকে উইকেটের কাছাকাছি কোনো জায়গায় দাঁড়ান তিনি। অধিনায়কেরা সে রকমই দাঁড়ান সব সময়। কিন্তু আজ প্রথম দুই সেশনে মুশফিক ডিপ পয়েন্টের ফিল্ডার। এ নিয়ে তাঁর সোজাসাপ্টা জবাব, ‘একটা জিনিস পরিষ্কার করি, আমি ফিল্ডার হিসেবে খুব একটা ভালো না। আমার কোচরা চেয়েছেন বাইরে ফিল্ডিং করি। সামনে থাকলে আমার হাত থেকে নাকি রান হয়ে যায়। ক্যাচ উঠলে নাকি সুযোগ থাকে না ধরার। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটাই তো করতে হবে। বেশির ভাগ সময়ই তাই থেকেছি বাইরে। মাঝেমধ্যে ভেতরেও থেকেছি। তখন চেষ্টা করেছি বোলারদের পরামর্শ দিতে।’