টাকা-চাকরির জন্য ছাত্রলীগকে ডাকলেন কাদের

Slider জাতীয়

309ee30e3f2a3151c285aa01c742a903-593d5ec0a9c74

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অপকর্ম না করার উপদেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি টাকা ও চাকরির জন্য নেতা-কর্মীদের তাঁর কাছে যেতে বলেছেন। পাশাপাশি বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।

আজ রোববার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মিলনায়তনে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের একাধিক নেতা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসব বলার আগে ওবায়দুল কাদের এসব বক্তব্যকে দলীয় বক্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তোমাদের কারও সংগঠন করার জন্য অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের যদি কোনো আর্থিক সহায়তার দরকার হয়, আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমার নেত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তোমাদের জানাতে চাই, এসব বিষয় আমরা দেখব। টাকার জন্য কোনো অপকর্মে যাওয়া যাবে না। টাকার দরকার হলে আমার কাছে আসবে। আমি নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। যখন ছাত্রত্ব চলে যাবে, বেকার হবে, চাকরির জন্য প্রয়োজন হবে, আমার কাছে আসবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তবে পরীক্ষা দিয়ে রিটেনে টিকলা না, বলবা ছাত্রলীগ করেছি, এটা কিন্তু মানব না। নিয়মমতো পরীক্ষায় টিকে তুমি যোগ্য হলে অবশ্যই দেখব।’ অপকর্মকারীদের সংগঠন থেকে বের করে দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ কর্মী এসব করে না। গুটি কয়েকের জন্য পুরো পার্টির ক্ষতি হয়। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কমিটি বাতিল করে দেওয়াটাও উচিত নয়।’

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভালো আচরণ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘মিছিলে না এলে হলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সিট বাতিল করবে, এটা চলবে না। হলে কোনো রাজনৈতিক কক্ষ থাকবে না।’ তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-টেন্ডার চালুর কথা বলেন। জেলা কমিটিগুলো দেওয়ার সময় স্থানীয় কোনো নেতার কথায় কমিটি না দিয়ে যোগ্যদের দিয়ে কমিটি দিতে বলেন। সরকারের অপপ্রচার মোকাবিলা করতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সক্রিয় হতে বলেন।
এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অন্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো এখানেও চলমান সরকার ক্ষমতায় থেকে রুটিন ওয়ার্ক করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করে যাবে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সহায়ক সরকারের বিধান নেই। সহায়ক সরকারের দাবি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে অপমান করা। ওবায়দুল কাদের বিদেশি কূটনীতিকদের এ দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার আগে নিজ দেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা বলেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী, সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *