নগদ সহায়তা মিলবে গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজে

Slider জাতীয়

রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নগদ সহায়তা দেবে সরকার। এ জন্য সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-১ শাখা থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে। অর্থ বিভাগও এ বিষয়ে ইতিবাচক।

গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতকে প্রণোদনার আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে ‘বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (বিজিএপিএমইএ)। তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে এবং অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ খাতকে নগদ সহায়তার আওতার আনার সুপারিশ করে। এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ প্রণোদনার ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।

রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের প্রায় এক হাজার ৯০০টি প্রতিষ্ঠানের একটি বাণিজ্যক সংগঠন বিজিএপিএমইএ, যারা দেশের পোশাক শিল্পের ৯৫ শতাংশ অ্যাক্সেসরিজ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া ওষুধ, ক্রোকারিজ, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, চামড়াসহ রপ্তানি খাতের সব ধরনের মোড়কজাত পণ্যের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রায় ৪৩টি খাত সরকারের নগদ প্রণোদনা কিংবা ভর্তুকি পাচ্ছে। কিন্তু অ্যাক্সেসরিজসহ প্যাকেজিং শিল্পগুলো বিপুল রপ্তানি আয় সত্ত্বেও কোনো নগদ সুবিধা পায় না। বর্তমানে নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, শ্রীলংকা, তুর্কমেনিস্তান, জার্মানি, অস্ট্রিয়াসহ ২১টি দেশ ও অঞ্চলে গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং পণ্য রপ্তানি করা হয়। এই খাত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৬৭ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ছিল সরাসরি রপ্তানি। এই খাত ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ১২০০ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ৪৩ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এসব পণ্য রপ্তানিতে ১ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ পণ্য রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাচ্ছে। রপ্তানি আয়ের এফ ও বি (ফ্রেইট অন বোট) মূল্যের বিপরীতে উল্লিখিত হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়।

২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাওয়া খাতের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য; অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই), বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্য, শতভাগ হালাল মাংস ও মাংসজাতীয় পণ্য, আলু, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন ও জুট পার্টিকেল বোর্ড, শস্য ও শাকসবজির বীজ এবং আগর ও আতর পণ্য।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা পাচ্ছে ছয় খাতের পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে হালকা প্রকৌশল পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, বিভিন্ন আসবাবপত্র, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সিনথেটিক ও ফেব্রিকসের মিশ্রণে তৈরি পাদুকা ও ব্যাগ এবং চাল। ১২ শতাংশ নগদ সহায়তা পায় একটি খাত। সেটি হলো হেসিয়ান, স্যাকিং ও সিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *