ঢাকা ; নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, তিনি দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্যে কাজ করেন। আজ রবিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ডিআরইউ ভবনের স্বাধীনতা হলে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে দেশে এসে বাংলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এবং তাঁর দ্বারাই বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমান সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়াউর রহমান তাঁকে নিজ বাড়িতে ঢুকতে দেননি। এমনকি শেখ হাসিনা সেদিন মা-বাবা, আত্মীয় পরিজনদের জন্য মিলাদ পর্যন্ত পড়াতে পারেননি।
মন্ত্রী বলেন, ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ থাকলে কেউ এতোটা রূঢ় আচরণ করতে পারেন না। কতটা নিষ্ঠুর হলে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মানুষকে হত্যার নির্দেশ দিতে পারেন। এসব কর্মকাণ্ডে জিয়া নিজেই প্রমাণ দিয়েছে যে সে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী।
শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে এবং তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রী দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নে ইর্ষান্বিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে দেশব্যাপী গণহত্যা চালিয়েছে। জীবন্ত মানুষকে পেট্রল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। এই গণহত্যার অবশ্যই বিচার হবে।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি মো. মেজবাহউদ্দিন শফি, এম আব্দুল্লাহ বাবু, হাজী শরীফ আহমেদ, খন্দকার ইব্রহিম এবং খন্দকার আলমগীর হোসেন।