ঝিনাইদহের খবর

Slider খুলনা

jhenidah-bank-opaning-photo

 

 

 

 

 

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মুখমুখি সংর্ঘষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাবলা নামক স্থানে মঙ্গলবার সড়ক দূর্ঘটনায় মাহাবুবুর রহমান (৪০) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরেক ব্যক্তি। নিহত মাহবুবু শৈলকুপার ভাতবিলা কুলচারা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

মাহাবুবুর রহমানের ছোট ভাই মাছুদ রানা ও চাচা ফারুক মন্ডল অভিযোগ করে সাংবাদিককে বলেন, ঝিনাইদহ থেকে শৈলকুপা সড়কে যে সব যানবহন চলাচল করে তার অধিক অংশ যানবহনের হেলফার দ্বারা পরিচালনা করা হয়। এ সব যানবহনের কোন প্রকার ফিটনেস নাই এবং ড্রাইভারেরও লাইসেন্স নাই। এরা কি ভাবে রাস্তায় গাড়ী চালাই ?

তারা আশংখা করে আরো বলেন, স্থানিয়রা ঘটনা দেখে বলেছেন-বাচ্চু তার বাম পাশ ধরে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজ বাসা থেকে ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছিল। ঝিনাইদহ থেকে শৈলকুপা গামী একুশে গাড়ীটি উল্টা পথে গিয়ে বাচ্চুকে ধাক্কা দিলে বাচ্চু গুরুতর আহত হয়। স্থানিয়দের সুত্রমতে জানা গেছে, হেলফার গাড়ীটি চালনা করছিল।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া সড়কের গাবলা নামক স্থানে ঝিনাইদহ থেকে হাটফাজিলপুর গামী একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা মটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে সাইকেল আরোহী দু জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মাহবুবকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে।

ঝিনাইদহে ভন্ড কবিরাজের চক্রান্তে নিখোঁজ রহস্যে অসহায় সোহাগ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানার হিঙ্গার পাড়া গ্রমের ওহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২০) ভন্ড কবিরাজের চক্রান্তে নিখোঁজ হয়েছেন। সোহাগের নিখোঁজের চক্রান্তে চাচা মোঃ মনির হোসেন (১৫ই ডিসেঃ) ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। যার জিডি নংঃ- ৬৬৮।

চাচা মনির হোসেন সুত্রে জান গেছে, ভাতিজা সোহাগ ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা বাজারের নাথকুন্ডু গ্রামের প্ররোরচনায় আনুমানিক চার বছর পূর্বে চাকুরির উদ্দেশ্যে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে যায়। বেশ কিছুদিন পর বাড়িতে ফিরে এসে এলো মেলো কথা বলতে থাকে। আমরা তার মাথায় সমস্যা হয়েছে বলে ডাক্তার,কবিরাজ দেখোতে দৌড়ঝাপ শুরু করি।

আমরা গরীব হওয়ার কারণে টাকা-পয়সা কম লাগবে ভেবে কবিরাজ দেখাতে থাকি। ঝিনাইদহ সদরের বাজার গোপালপুরের ইস্কুলের পাশে বাসা জৈনক কাঠ ব্যবসায়ী ও ভন্ড ধোঁকাবাজ কবিরাজ আব্দুল হান্নান উপদৃষ্টির ভাব হয়েছে তাই জলসার করে জ্বীন তাড়ানোর নাম করে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পরবর্তীতে ঝিনাইদহ সদরের কালীকাপুরের জৈনক মহিলা কবিরাজের কাছে গেলে উপদৃষ্টির ভাব হয়েছে বলে গরীব অসহায় মনির হোসেনের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজের কাজ না হলে উক্ত মহিলা কবিরাজ আবার ঝিনাইদহ সদরের মধুপুর চাপড়ী গ্রামের আরেক মহিলা কবিরাজ কদভানুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

সোহাগকে দেখাতে কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে কবিরাজ কদভানু সোহাগকে রেখে চাচা মনির হোসেনকে নিজ বাড়ীতে চলে যেতে বলেন। চাচা মনির হোসেন কবিরাজ কদভানুকে বলে আমি রেখে গেলে সোহাগের কোন সমস্যা হতে পারে কিনা।

কদভানু আশা দিয়ে বলে আমার কাছে জ্বীন আছে, আমার কাছে যে আসে তার কোন সমস্যা হতে পারে না। তুমি নিশ্চিন্তে নিজের বাড়িতে চলে যাও।সোহাগ হারিয়ে বা পালিয়ে গেলে আমার কাছ থেকে বুঝে নিবা। আমি সারা রাত সোহাগকে চিকিৎসা দিব বাইরের লোক থাকলে চিকিৎসা দেওয়া যাবেনা তাই তুমি বাড়িতে চলে যাও।

এ কথা শুনে চাচা মনির হোসেন কবিরাজ কদভানুর কাছে সোহাগকে রেখে নিজের বাসায় ফিরে আসে। পরদিন মহিলা কবিরাজ কদভানুর কাছে সোহাগ কোথায় যানতে চাইলে ভন্ড কবিরাজ কদভানু বলে আমি সোহাগের কানে গরম রড ঠেসে ধরার পর থেকে সোহাগ কোথায় চলে গেছে বা কি হয়েছে আমি জানিনা। এর পর থেকেই সোহাগের আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান চাচা মনির।

উল্লেখ্য, এতিম সোহাগের মা, চাচা সহ বাড়ির সবাই ঝিনাইদহ জেলোর প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন সোহাগকে খুঁজে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে এবং এই সমস্ত ভন্ড কবিরাজের আইনের আউতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে। যাতে এতিম অসহায় সোহাগের মত আর কেউ এই ভন্ড কবিরাজদের প্রতারণার স্বিকার না হয়।

ঝিনাইদহে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লাল নীল আলোয় ঝলমলিয়ে উঠছে জুয়া ও নগ্ন মেলার আসর ! দেখার কি কেউ নেই ?
ঝিনাইদহে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় শৈলকুপা,মহেশপুর ও হরিণাকুন্ডতে অশ্লিলতার ভয়াবহ উন্মাদনায় বিপথগামী যুব সমাজ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
মহান বিজয়ের মাসে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জেলা ব্যাপী অশ্লিলতার ভয়াবহ উন্মাদনা শুরু হয়েছে। গ্রাম্য কৃষ্টি কালচার পদদলিত করে মেলার নামে শুরু হয়েছে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য। আর এ সব করা হচ্ছে বিজয় মেলার নামে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে অনুমতি নিয়ে জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে অনুষ্ঠারে যাবতীয় স্বত্ব।

আর এতে পোয়া বারো হচ্ছে জুয়াড়িদের। আমফাশ জেলা থেকে দাগী অপরাধীদের পাশাপাশি নামি দামি জুয়াড়িরা আসছে জুয়া খেলতে। চলছে ফাঁকে ফাঁকে ইয়াবার মরণ নেশা। জেলা ও উপজেলা শহরে প্রকাশ্যে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে জুয়া ও হাউজির টিকেট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের রেজিষ্ট্রি অফিস, শৈলকুপার কড়াইতলা ও হাটগোপালপুর এলাকায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর ও নগ্নতার মঞ্চ ভেঙ্গে দিলেও নতুন করে আবার শুরু হয়েছে শৈলকুপার মদনডাঙ্গা, মহেশপুরের আজমপুর ইউনিয়নের বলিভাদ্রপুর ও হরিণাকুন্ডু শহরে।

মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় এই দুটি নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও এবং ক্লাবের নামে চালানো হচ্ছে জুয়ার আসর। সরেজমিন দেখা গেছে একটি ভুঁইফোড় ক্লাবের নামে মহেশপুরের বলিভাদ্রপুর গ্রামে তপন নামে এক ব্যক্তি জুয়া, ওয়ানটেন ও ফোর গুটির আসর বসিয়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লাল নীল আলোয় ঝলমলিয়ে উঠছে আসর। অথচ মহেশপুর পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন একেবারেই নীরব ভুমিকা পালন করছে।

অভিযোগ উঠেছে তাদের সহায়তায় এই অসামাজিক কাজ করা হচ্ছে। গ্রামের অভিভাবকরা এই অশ্লিলতা বেন্ধর দাবী জানিয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মদনডাঙ্গায় আনান্দ মেলার সভাপতি রেন্টু ও মালিক ভুট্রো নামে দুই ব্যক্তির সহায়তার চলছে ওয়ানটেন ও জুয়ার বাম্পার আসর। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী এই স্থানটি ঝুকিপুর্ন হলেও টাকার কাছে সবার মাথা বিক্রি হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ। তাদের অভিযোগ সকালে ঘাটে ঘাটে যার যার প্রাপ্য পৌছে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মেলার নামে আয়োজকরা যা ইচ্ছা তাই করছে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলার শহরের পৌরসভার পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গয়ে যাত্রা জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। সেখানেও সুস্থ সাংস্কৃতির কোন চর্চা নেই বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। মহান মুক্তিযুদ্ধকে পুজি করে এ ধরণের বেহায়পনা কর্মকান্ডে হরিণাকুন্ডুর মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও কানে পানি যাচ্ছে না পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের।

অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে যাত্রাসহ সুস্থ বিনোদনের অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু অনুমতি নেবার পরই আয়োজকদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। ফলে সুস্থ সাংস্কৃতির বিকাশ হয়ে পড়ে রুদ্ধ। প্রশাসনের সৎ ও কর্মশীল ব্যক্তিরা এ সব নগ্নতার বিরুদ্ধে থাকলেও প্রভাব আর হস্তক্ষেপের কারণে তারাও অসহায় হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীন জানান, তিনি নগ্নতা ও অশ্লিলতার বিরুদ্ধে। যাত্রাপালার অনুমতি নিয়ে যারা এগুলো করেন তাদের প্রতিরোধ করার কথা বলেন তিনি। তিনি আরো জানান, এসব নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু আর্থিক কারণে নিয়ন্ত্রনের পথ রুদ্ধ হচ্ছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করার পথ উন্মুক্ত হবে।

ঝিনাইদহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার সেনা মোতায়েনের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টি, প্রভাব বিস্তার, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, প্রতিপক্ষের ভোটারদের হুমকী ধমকি ও মারধরসহ নানা ধরণের অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম হারুন অর রশীদ।

তিনি মঙ্গলবার সৃজনী কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণ ভোটগ্রহনের স্বার্থে ৭২ ঘন্টা আগে ভোট কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস প্রতিনিয়ত আমার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। সেই সাথে ভোটকেন্দ্র দখলের পরিল্পনা করছে। তারা আমার নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, ও কর্মীদের মারপিট করছে।

এসব ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ৩ টি সাধারণ ডায়েরী ও রিটানিং অফিসারের কাছে আচরণ বিধি লংঘনের ১২ টি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, প্রতিপক্ষ প্রার্থী কন কান্তি দাস আচরণ বিধি লংঘন করে একের পর এক ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী সভা করছেন।

শত শত মাইক্রোবাস ও মটর সাইকেল শোভাযাত্রা করছেন। জোরপুর্বক ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে চশমা প্রতিকে প্রকাশ্যে সিল মারার ঘোষণা দিচ্ছেন। লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন উল্লেখ করেন, গত ৮ ডিসেম্বর আব্দুল হাই এমপিকে সাথে নিয়ে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী, কাঁচেরকোল, মনোহরপুর, ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান মেম্বরদেরকে জনসভা করে বলেছেন ভোটের সীল গোপনে না দিয়ে আমাদের সামনে সীল মারতে হবে। তা না হলে আগামীতে বোঝাপড়া আছে।

১১ ডিসেম্বর মহেশপুর উপজেলার এস.বি.কে, ফতেপুর, পান্তাপাড়া,স্বরুপপুর ও শ্যামকুড় ইউনিয়নে ২৫টি মাইক্রোবাসযোগে শোডাউনসহ ৩০০ লোকের খাসি জবাই করে খাওয়ানো হয়েছে। সেখানে জন সমাবেশে করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহনের ঘোষনা দেওয়া হয়েছে।

গত ১২ডিসেম্বর মহেশপুর উপজেলার আজমপুর, মান্দারবাড়িয়া, যাদবপুর, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২৫টি মাইক্রোবাসযোগে শোডাউনসহ ৫০০ লোকের বিরিয়ানী দিয়ে দুপুরে আপ্যায়ন করা হয় ও জন সমাবেশে জোরপূর্বক ভোট কাটার ঘোষনা দেওয়া হয়। প্রতিটি সভায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৪ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আমার আনারস প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয় এবং কর্মীদের মারধর করে। একই দিন দুপুরে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পোষ্টার ঝুলানোর সময় আমার কর্মী নাজিরুল ইসলাম ও মিল্টনকে প্রচন্ড মারধর করে আহত করা হয়।

এ বিষয়ে সদর থানায় সাধারন ডায়েরীভুক্ত করার জন্য গেলেও আজো ডায়েরী অদ্যাবধি গৃহীত হয়নি। গত ১৫ ডিসেম্বর ০৪টি মোটরসাইকেল যোগে ০৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের চোরকোল বাজারে আমার নির্বাচনী কর্মী মোঃ টিপু সুলতানকে মারধর করে। পরববর্তীতে তাকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর আমার নির্বাচনী গনসংযোগের সময় হলিধানী বাজারে আমাকে ও আমার কর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ০১টি প্রাইভেট কার ও ০১টি মাইক্রোবাসে করে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় সৃজনী বাংলাদেশ অফিস আক্রমন করে আমাকে না পেয়ে সাইনবোর্ড সহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

গত ১৮ ডিসেম্বর সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নে গনসংযোগের সময় নারিকেলবাড়ীয়া বাজারে ঢোকার পথে আমার ভাই মিজানুর রহমান (তোতা) সহ আমার নির্বাচনী কর্মীদের সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর। একই দিন রাতে আ’লীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাস ও তার লোকজন আমার ভাড়াকৃত মাইক্রোবাস শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে থামিয়ে আমার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মীদের উপর বোমা ফাটিয়ে ও ফাকা গুলি ছুঁড়ে হামলা চালায়।

তখন আমরা জীবন বাচাতে ভাটই বাজারস্থ সৃজনী বাংলাদেশ অফিসে আশ্রয় গ্রহন করি। ১৮ ডিসেম্বর মহেশপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে মেম্বর ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভায় সরাসরি কনক কান্তি দাস জোরপূর্বক সকল ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে তার চশমা প্রতীকে জনসম্মুখে সীল মারার ঘোষনা দেন এবং ১৯ ডিসেম্বর থেকে আমার আনারস প্রতীকের কোন কর্মীকে কাজ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকী দেন।

একই দিন আমার ছোট ভাই মিজানুর রহমান (তোতা) ব্যক্তিগত কাজে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ মোটর সাইকেল গ্যারেজে গেলে কনক কান্তি দাসের লেঅকজন খুন জকমের হুমকী দেন। এ সব কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ নির্বাচন কমিশনের কাছে সেনা মোতায়েনের জোর দাবী জানান।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কনক কান্তি দাস বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বা তার কোন কর্মী নির্বাচন আচরণ বিধি লংঘন করেন নি। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী এম হারুন অর রশীদ যে অভিযোগ করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। কণক কান্তি দাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, হারুন কালো টাকা ছিটিয়ে নিজেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করছেন। তার প্রমান টাকাসহ একজন মেম্বর ধরা পড়া। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে গনতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবেন।

ঝিনাইদহে ১০০ তম শাখার উদ্বোধনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর বাজারে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১০০ তম শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ্ সাহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত শাখার উদ্বোধন করেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপ- ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আজিজ, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাষ্ট্রিজ এর সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন, পদ্মাকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নিজামুল গণি লিটু, শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক, এ্যাড. আব্দুর রশিদ, ব্যবসায়ী ইমাজুল হকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক জনগণের দোর গোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা এবং শহরতলীতে শাখা স্থাপনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহকদের সম্ভবনাময় সকল খাতে বিনিয়োগের আশ্বাস প্রদাণ করেন প্রধান অতিথি সানাউল্লাহ্ সাহিদ।

ঝিনাইদহে খাদ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের দাবীতে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
১০ হতে ২০ ডিসেম্বর খাদ্য অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহে খাদ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের দাবীতে র‌্যালী বের হয়। খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক খানি-বাংলাদেশ,উন্নয়ন ধারা,স্বাধীন কৃষক সংগঠন ও এ্যাকশানএইড যৌথ ভাবে খাদ্য সপ্তাহ উপলক্ষে সকাল এগারটায় উন্নয়ন ধারা অফিস হতে র‌্যালীটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে একই স্থানে শেষ হয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন ধারার কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হায়দার আলী,কৃষিবিদ রুবেল আলী, উন্নয়ন ধারার ডাটা ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানভীর আহম্মদ রনি, কৃষিবিদ কৃষ্ণ দাস সাহা,কৃষাণী ফরিদা খাতুন,মনিরা খাতুন প্রমূখ।

র‌্যালী ও আলোচনা সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষাণ-কৃষাণীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তাগন বলেন, খাদ্য অধিকার আইন চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন এর দাবী জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *