গাজীপুরে পুলিশের কাছে অসহায় সাংবাদিক সমাজ

Slider জাতীয় বিনোদন ও মিডিয়া

13509063_1618697711781689_7532611335127379174_n

 

গাজীপুর অফিস: রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি, অসৎকাজের ভাগ বসানো ও বিরোধী রাজনীতিকে আঁড়াল করে সরকারী দলের হয়ে থাকার প্রবণতা তীব্র হয়ে যাওয়ায় আত্মরক্ষা করতে পুলিশের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছে গাজীপুরের সাংবাদিক সমাজ। ফলে জনগনের অভিযোগ সম্পর্ক পুলিশের নিকট জানার জন্যও সাংবাদিক পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যায় তাও অভিযুক্ত পুলিশের সঙ্গে লিঁয়াজো হয়ে যাওয়ায় জনগনের মৌলিক অধিকার সংরক্ষনে সাংবাদিকদের সাংবিধানিক ও আইনী পরিধি ছোট হয়ে যাচ্ছে। এতে পুলিশি অপরাধ বাড়ছে। আর অতিমাত্রায় কষ্ট পাচ্ছে জনগন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলার সকল থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে গেছেন। তারা পেশাদার অপরাধী ধরতে গিয়ে মাঝে মধ্যে নীরিহ মানুষও আটক করছেন। অভিযোগ রয়েছে, নীরিহ মানুষকে আটক করে ২/৩দিন পর্যন্ত আদালতে না দিয়ে পুলিশি হেফাজতে রাখছেন। আটক সময়ে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন এনে তাদের সামনেই জিজ্ঞাসাবাদের নামে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। এ সব কাজে পুলিশ যা বলছে আটককৃতের পরিবার সেটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। পুলিশের কথার বাইরে গেলে বা তথ্য প্রকাশ করলে একাধিক মামলায় জড়ানো সহ আসামীকে  নির্যাতনও করা হয়।

রাজনৈতিক মারপ্যাচ দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানীর ঘটনায় রিপোর্ট তৈরী করতে গিয়েও হারিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকেরা। নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষন ও রাজনৈতিক আবরণে থাকতে গিয়ে তারা পুলিশের সাথে লিঁয়াজো করছেন। ফলে কোন অপরাধ উদঘাটন এখন দুরহ ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কতিপয় বিএনপির নেতা কাম সাংবাদিক নিজেদের  রক্ষা করতে সরকারী দল  ও  পুলিশের সাথে লিঁয়াজো করছেন। তারা এখন সরকারী দলের লেবাসে নানা ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন। আর এই সূযোগ নিয়ে পুলিশও ওই সাংবাদিকদের নীরব থাকার কাজে ব্যবহার করছেন।

তথ্য রয়েছে, নানা কারণে পুলিশের কাছে সাংবাদিকেরা অসহায় হয়ে পরায় সম্প্রতি বেশ কয়কেজন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রতিবেদন তৈরী করতে গিয়ে তিন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। পরবর্তি সময় পুলিশের টাকায় চিকিৎসা নিয়ে তারা আপোষ হয়ে যান বলে কথা উঠছে।  ইদানিং একটি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একজন সাংবাদিককে মারধর করা হয়। কিছুদিন পর একই সাংবাদিককে আবারও মারধর করা হয়। এর আগে পূবাইল ভূমি অফিসে দুই সাংবাদিককে মারধর করা হয়।  সাংবাদিক নির্যাতনের আইনী কঠোর ব্যবস্থা না হওয়ায় পুলিশের কাছে সাংবাদিকেরা অসহায় পয়ে পড়ছেন। কতিপয় সাংবাদিকের সঙ্গে প্রশাসনের গোপন লিঁয়াজো থাকায় সাংবাদিকেরা ন্যায় বিচারের জন্য সামাজিক আন্দোলন করতেও ঐক্যবদ্ধ হতে পারছেন না্।

অবশ্য এ সব ঘটনার ব্যাতিক্রমী ঘটনাও আছে। কিছু দিন আগে চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীর দেহ তল্লাসী করে ১০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগও উঠেছে এক সাংবাদিকের নামে। এ ছাড়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও ডিবিতে কপিতয় সাংবাদিক নিয়মিত যাতায়াত করে নিজেদের   অনৈতিক স্বার্থ  আদায় করছেন বলে অভিযোগ আছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী অফিসে প্রায় সময় কোন না কোন সাংবাদিককে অফিসারদের রুমে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এতে সরকারী কাজেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। আর যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হয় জনগন। 

এ সকল বিষয়ে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘটনা ঘটতে পারে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *