সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামতো জরিমানার অর্থ জমা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তার আইনজীবী মামুন মাহবুব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জমা দেয়া হয়েছে।
গত ২৭শে মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আদালত অবমাননার দায়ে দুই মন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে এই অর্থ ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশকে দিতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের সাত দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, দুই মন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এবং অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে যে আবেদন করেছেন তা আমরা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারীরা মন্ত্রী, সাংবিধানিক পদধারী। তাঁরা সংবিধান রক্ষার শপথবদ্ধ। তাঁরা প্রধান বিচারপতি এবং সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের কাছে উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হয়েছে।
তাঁদের বক্তব্য বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপের শামিল এবং বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে যে কোনো ব্যক্তি বিচার বিভাগ সম্পর্কে একইরকম অবমাননাকর বক্তব্য দেবেন। এ জন্য তাদের আমরা গুরুতর আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করছি। তবে তারা প্রথম সুযোগেই নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে উদারতা দেখানো হয়েছে।