ফিলিস্তিনে হত্যাযঞ্জ বন্ধে মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব বিবেককে আরও স্বোচ্চার হওয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ সারাবিশ্ব
6671f9de9e445222e9f168a41354d173-pm
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনে শিশু এবং সাধারণ মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধে মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব বিবেককে আরও স্বোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে শিশু এবং ভাই বোনদের উপর যে ভাবে হত্যা যজ্ঞ চালানো হচ্ছে এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এটা কখনো গ্রহণ যোগ্য নয়। আমি পবিত্র রমজান মাসে এ ধরনের রক্তের হলি খেলা বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।’
তিনি মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব বিবেককে এ ব্যাপারে আরও স্বোচ্চার হাবার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনিদের সাথে আছি- থাকবো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহি সংসদের সভার শুরুতে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্য সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কাজী জাফরউল্লা, নূহ-উল-আলম লেনিন, এডভোকেট সাহারা খাতুন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
যে সমস্ত দেশ মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তারা কেন এ ব্যাপারে সোচ্ছার নয় প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ভাবে শিশু নারীদের হত্যা করা হচ্ছে এটা কি মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে না। তাদের জীবনের কি কোন মূল্য নেই?।
এই গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ নারী শিশুদের উপর বিমান হামলা একটা জঘন্য কাজ। আর এই রমজান মাস এবং ঈদের সময় এই ধরনের হামলা সবচেয়ে দঃুখ জনক।
এ দেশে যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন যারা একটা খুন হলে চিৎকার করেন তারা কেন আজ নিশ্চুপ? তাদের কি বিবেক বলে কিছু নেই। আমরা এর নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এবছরে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে রমজান মাসে খাদ্য দ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্য ছিল। হত দরিদ্রদের মধ্য রমজান মাসে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মানুষ নির্বিঘেœ ট্রেন, বাস লঞ্চে বাড়ি ফিরতে পেরেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেখানে যখন প্রয়োজন মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দিয়েছি। সারা দেশের মানুষ আনন্দ উৎসাহে কেনা কাটা করেছে। মানুষের যে আর্থিক উন্নতি হয়েছে এতে তা প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশকে দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়ায় দারিদ্র সীমা আরও এক ভাগ কমে ২৫ ভাগে নেমে এসেছে।
সরকারের নিরলস পরিশ্রমের ফলে এই আগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আছে আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছেতে পারবো। আমরা প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দেশের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা ও অর্থনীতি নিশ্চিত করেছি। এ অবস্থা যেন বিরাজমান থাকে সে জন্য তিনি দেশবাসির সহযোগীতা কামনা করেন।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে মানুষের শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর নামে বাসে, ট্রাকে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে। ৫৫ জন ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। কোরআন শরিফে আগুন দেয়ার মত জঘণ্য কাজ করেছে। এই আগুনের ক্ষত নিয়ে অনেক মানুষ এখন দু:সহ জীবনযাাপন করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে খুন খারাবি এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ।
আগস্ট মাসকে শোকের মাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা এবং দেশের আগ্রযাত্রার উপর চরম আঘাত আনা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে হত্যার রাজনীতি এবং অসাংবিধানিক রাজনীতি শুরু করে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে সামাজিকভাবে তাদের পুর্নবাসন করে। এদেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে বিচ্যুত করে এবং পরাজিত শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় নিয়ে আসে।
সূত্র : বাসস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *