গ্রাম বাংলা ডেস্ক: রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আপন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর বয়স জানা যায়নি।
পুলিশের দাবি, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ৩ জুলাই উত্তরায় নিরাপত্তাকর্মীকে খুন করে ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ছিলেন আপন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই পুলিশ আহত হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাতিরঝিল এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি সাদা গাড়ি ও চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, নিহত আপনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা, রামপুরা ও গুলশান এলাকায় ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ওই সব এলাকায় গাড়ি নিয়ে এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটত।
৩ জুলাই রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বাধা দিলে লিয়াকত হোসেন লিটন নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ভোরে গাড়িতেই ধর্ষণ করে মেয়েটিকে উত্তরা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মেয়েটির পূর্বপরিচিত রুম্মন নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর বাইরে আর অগ্রগতি নেই। উদ্ধার হয়নি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত অস্ত্র।
প্রথম আলোকে দেওয়া ঘটনার শিকার মেয়েটির ভাষ্য, তাঁর হবু বর ও মায়ের সঙ্গে বাসায় ফেরার সময় একটি মাইক্রোবাসে করে দুর্বৃত্তরা আসে। তারা প্রথমে মেয়েটির মাকে পিস্তল দিয়ে আঘাত করে, তারপর মেয়েটির হবু বরকে চাপাতি দিয়ে কোপায়। এরপর পাশের একটি বাসার নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এলে তাঁকে গুলি করে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলে।
মেয়েটি জানান, গাড়িতে চালক বাদে পাঁচজন ছিল।
ডিবির সূত্র বলছে, ওই চক্রটিকে তারা শনাক্ত করেছে। শিগগিরই তারা ধরা পড়বে।
উত্তরা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, পুলিশ আন্তরিকভাবে তদন্ত করছে। অচিরেই সব বের হয়ে আসবে।