খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার প্রক্রিয়া শুরু

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে তার সফরসঙ্গী ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ভিসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে কবে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রার সফরসঙ্গী হতে ১৫ জন আবেদন করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু করে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার পাসপোর্ট এবং ভিসাসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। তার সঙ্গে যারা যাবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- পরিবারের সদস্য, মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ব্যক্তিগত সহকারী, নার্স ও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাদেরও ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এসব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বসে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। তাই তিনি কবে বিদেশে যাচ্ছেন, এটা চূড়ান্ত করে বলা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টেকে বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কবে বিদেশ নেওয়া হবে, তা আমি জানি না। এই বিষয়ে উনার মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, চলতি মাসের যেকোনো সময় ম্যাডামকে প্রথমে লন্ডন নেওয়া হবে। সেখান থেকে উনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোনো একটি দেশে নেওয়া হবে। যেখানে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতাল রয়েছে। কারণ, ম্যাডামের অনেকগুলো রোগ রয়েছে। যার ফলে একসঙ্গে উনার অনেকগুলো রোগের চিকিৎসা করতে হবে।

এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে। তার অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার ট্রান্সপারেন্ট করতে হবে। এটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুই-একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, আর্থরাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *