মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে সশস্ত্র হামলা ও মারপিটের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি, তাদের ছেলেসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।গত শুক্রবার,গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র রিফাত সরকার বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।এ মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে খন্দকারটোলার মৃত মনছের আলীর ছেলে ফজলুল হক (৪৭), একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫০), খোসলেহাজের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৬০), খন্দকারটোলার দক্ষিণপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে সুরুজ্জামান (৫৯), গড়েরবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আবুল কালাম আজাদকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে।মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক এমপি হাবিবর রহমান, তার ছেলে আসিফ ইকবাল সনি, সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জ্বনাব মোঃ মজিবর রহমান (মজনু), তার ছেলে শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।জ্বনাব মোঃ সারোওয়ার রহমান (মিন্টু), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্বনাব মোঃ সুলতান মাহমুদ, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র:- জ্বনাব মোঃ নাজমুল আলম (খোকন), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম (তারেক)সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই দুপুর ১২দিকে শেরপুর শহরের ধুনট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন ছাত্র-জনতা। এসময় মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ লোহার রড, লাঠি নিয়ে মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।এমনকি ওই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়ে। এসময় গুলিতে নাসির উদ্দিন, আব্দুল মজিদ আকন্দ, শাকিল রোজা, রহমত আলী, নাহিদ হাসান, সাইম, হোসেন, রিফাত সরকার আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ পরবর্তিতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।মামলার বাদি শাহবন্দেগী ইউনিয়নের মোতালেব সরকারের ছেলে রিফাত সরকার বলেন, ঘটনার সময় আমরা নিজেরাই গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়েছিলাম। এছাড়াও তারা ওই ঘটনায় মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে ওই সময় আইনের আশ্রয় নিতে পারিনি।এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি):- জ্বনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম(শফিক) মামলা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এই মামলায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে সারাক্ষণ.. ইনশাআল্লাহ ।