ঢাকার কেরানীগঞ্জে মরদেহের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নিহত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল হক।
পিবিআইয়ের দাবি, ওই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে খণ্ড খণ্ড করে বিক্রি করা অটোরিকশার ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানানো হয়।
পিবিআই ঢাকার পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া নিমতলী ব্রিজের পাশে গত ১৪ জুন পাওয়া যায় এক ব্যক্তির টুকরো টুকরো মরদেহ। পরে তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল হক আকন। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
কুদরত-ই-খুদা জানান, এ ঘটনার তদন্তে নামে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে ঢাকা জেলা পিবিআই। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনায় আটক করা হয় মোরশেদ আলমকে (৪৫)। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার মুকিল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে যাত্রীবেশে অটোরিকশায় উঠে নির্জন সড়কে তিনি চালককে রড ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ টুকরো টুকরো করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তার দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে রাজধানীর লালবাগ থানার আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের দেলোয়ার হোসেনের ভাঙারির দোকান থেকে অটোরিকশার দুটি প্যাডেল, চকবাজার থানার হোসনী দালান সংলগ্ন একটি ভাঙারির দোকান থেকে অটোরিকশার চারটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।