জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে হত্যার ঘটনায় বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক করা হয়েছে। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও হয়, এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজ এ সংক্রান্ত নথিতে সই করেছেন বলেও জানানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন একটা দুষ্কৃতকারী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে। তার পদবি চেয়ারম্যান হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি চেয়ারম্যান হন বা যেই হোক না কেন অবিচার বা অন্যায় করলে সে শাস্তি পাবে। আমরা সেই ব্যবস্থা নেব। আমাদের পক্ষ থেকে যা করা দরকার, রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাই করব।’
বাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে কি না– সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার পাটহাটি মোড় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক নাদিম। ঘটনার সময় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত সাংবাদিক নাদিমকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেখানে আরও ২০-২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম।
সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন।
গত শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের চিলাহাটি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মো. ফখরুল ইসলামের বাড়ি থেকে র্যাব মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করে। ওই দিন বকশীগঞ্জ থানায় নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।