ময়মনসিংহের ভালুকায় এক নারী গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী ওই নারী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, বাসের ড্রাইভার মো. রাকিব (২১), হেলপার আরিফ (২০) ও বাসের সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সিডষ্টোর এলাকায় ওই গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়। এ সময় মেয়েটি চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পরে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাই মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় রিদিশা গামেন্টস এর এক নারী কর্মী শুক্রবার রাতে কাজ শেষে ভালুকা এলাকায় তার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। মাওনা থেকে তিনি একটি হাইওয়ে মিনিবাসে ওঠেন। সিডষ্টোর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে বাসের সকল যাত্রী নেমে পরে। বাসটি সিডষ্টোর এলাকা পার হয়ে একটু এগিয়ে এলে ওই বাসের ড্রাইভার ও তার দুই সহকর্মী মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। এ সময় মেয়েটি সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে বাসটি আটক করি এবং ত্রিশাল এলাকা থেকে বাসের ড্রাইভার, হেলপার ও বাসের সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মো. মাসুম আহাম্মদ ভূইয়া বলেন, ‘আমি সকালে মেয়েটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মেয়েটি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে নিউরো ওয়ার্ডে স্থানান্তর করি। আমরা মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা করব। প্রয়োজনে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেয়েটিকে আর্থিক সাহায্য করে এসেছি। আমরা মেয়েটির পাশে আছি। তাকে চিকিৎসাসহ আইনগত সকল সহযোগিতা করা হবে।’