গাছে বেঁধে স্ত্রীকে নির্যাতন আরো একটি স্ত্রী আছে শফিকুলের

Slider জাতীয়

Narail_Pic_2_523750818
শফিকুল শেখ
নড়াইল: নড়াইলে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে নির্যাতন মামলার আসামি ববিতার স্বামী সেনা সদস্য শফিকুল শেখের (২৬) আরো একটি স্ত্রী আছে বলে জানা গেছে।

এক বছর আগে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট গ্রামের মো. মিজানুরের মেয়ে মোছা. মাহামুদা আক্তার মালার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

১১ মে শফিকুলকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করার পরে ১২ মে (মঙ্গলবার) নড়াইল কোর্টে হাজির করার সময় এক প্রশ্নের জবাবে এই বিয়ের কথা স্বীকার করেন শফিকুল। তবে তিনি এ সময় দাবি করে বলেন, ববিতা কোনদিন আমার স্ত্রী ছিলনা, আমি তাকে বিয়ে করিনি এবং নির্যাতনও করিনি। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ঘটনার সময় আমি ছুটিতে মাদারীপুর জেলায় মামা বাড়িতে ছিলাম।

নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, শফিকুলের আরো একটি বিয়ের কথা আমিও শুনেছি।

এর আগে ১০ মে হাইকোট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন মামলার সব আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এ পর্যন্ত এ মামলার মোট ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপজেলার শালবরাত গ্রামের ছালাম শেখের ছেলে সিলেটে কর্মরত সেনা সদস্য শফিকুল শেখের (২৬) সঙ্গে পাশের গ্রামের ববিতার মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর তারা গোপানে বিয়ে করেন।

পরে শফিকুল ববিতাকে বাড়িতে তুলে নিতে গড়িমসি শুরু করেন। একপর্যায়ে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল রাতে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন শফিকুল।

পরদিন সকালে এলাকার মাতবর আজিজুর রহমান আজুর নেতৃত্বে শফিকুল, তার মা-বাবা এবং কয়েক গ্রামবাসী মিলে ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এ ঘটনায় ৫ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ববিতার মা বাদী খাদিজা বেগম হয়ে শফিকুলসহ সাতজনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *