গাজীপুরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ ও ফাঁকা গুলির ঘটনায় আট কিশোর গ্রেপ্তার

Slider গ্রাম বাংলা

গাজীপুর: গাজীপুর আদালত এলাকার টাংকিরপাড়া নামক স্থানে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও একাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষনের ঘটনায় আট কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার(০১ জুন) জিএমপির সদর থানা পুলিশ এই তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জয়(২১), সামী খান(১৯), তানজিদ হাসান(১৮), আলমগীর হোসেন(২০), আরাফাত করিম তমির তালুকদার(২১), মো: রফিক(২৪), মাহবুব আলম(১৬) ও সিয়াম(১৬)। তাদের বাসা গাজীপুর শহরের ছায়াবীথী এলাকায়।

বৃহসপতিবার(৩০ মে) রাত আটটার দিকে গাজীপুর আদালত এলাকার টাংকিরপাড়া নামক স্থানে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ফাঁকা গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। এই সময় শ্রাবন নামে এক প্রতিবন্ধী আহত হয়। আহত শ্রাবন গাজীপুর মেট্রো সদর থানাধীন ট্যাংকিরপাড়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আকস্মিকভাবে স্থানীয় সৌরভ গ্রুপের জয়ের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি গ্রুপ মূলরাস্তায় এসে আতঙ্ক তৈরী করে তুহীন গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। এসময় তারা কয়েকটি দোকানের সাটারে হামলা করে ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এই আতঙ্কে তুহীন গ্রুপের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু শ্রাবন নামে এক প্রতিবন্ধী রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাকে তুহীন গ্রুপের লোক ভেবে সৌরভ গ্রুপ কুপিয়ে জখম করে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত শ্রাবনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ট্যাংকিরপাড় এলাকা আদালত এলাকা হওয়ায় নানা ধরণের লোকের উপস্থিতি সঙ্গত কারণে বেশী থাকে। এখানে বেশ কয়েকটি গ্রুপ মাদক ব্যবসা ও মেয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে। ব্ল্যাকমেইলিং করে ইতোমধ্যে অনেকজনের নিকট থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উভয় গ্রুপের মধ্যে হত্যা ও মাদক মামলার একাধিক আসামী রয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রো সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *