যেভাবে কাটে সাহাবুদ্দীন আহমদের শেষ দিনগুলো

Slider বিচিত্র

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাহাবুদ্দীন আহমদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। তার জীবনের শেষ দিনগুলো বেশ নীরবে-নিভৃতে অতিবাহিত হয়।

জানা গেছে, সাবেক এই রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা কখনো কখনো ভীষণ ভাবে অসুস্থ থাকতেন। তখন চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতেন। দুই দফায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং দীর্ঘ সময় প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক ব্যস্ত সময় কাটাতেন তিনি। সাহসিকতার সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন। আর শেষ জীবনে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি দিনের বেশির ভাগ সময় একাই থাকেন। যতটা সময় সম্ভব হয় পত্রিকা ও বই পড়তেন।

আগে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে মাঝে মাঝে হাটতে বের হতেন। নিরাপত্তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ২ জন পুলিশ সদস্য সাথে থাকতেন। কিন্তু বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে পরে আর হাঁটতে বের হতে পারতেন না। দীর্ঘ দিন বাসা থেকে বের হতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই আগের মতো আর চলাফেরা করতে পারতেন না।

অসুস্থতার কারণে তেমন কথা বলতে পারতেন না। অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠতেন। মূলত, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়েই তার শারীরিক অবস্থার বেশি অবনতি ঘটে।

আরো জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সব সময়ই প্রচারবিমুখ মানুষ। মিডিয়ার মুখোমুখি হতে চাইতেন না। রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষে তিনি একেবারেই নীরবে নিভৃতে থাকতেন।

রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আসত। কিন্তু তিনি কোথাও যেতেন না। একসময় একান্ত পারিবারিক কিছু অনুষ্ঠানে যেতেন। তবে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর নেয়ার পর আর কোনো ধরনের অনুষ্ঠানেই যাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *