মাধ্যমিকের পর এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকে অর্থাৎ ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকাদানের ব্যাপারেও একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো দেখছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পর ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেন দীপু মনি। বলেন, সব ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিধিবিধান থাকবে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। যুগান্তরকে বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
জাতীয় কমিটির পরামর্শ ছিল— ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া। তবে শিশুদের নয়। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুরা যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদের এখন স্কুলে যেতে কোনো বাধা নেই।
বুধবার রাত ১০টায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৈঠক শেষে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২২ ফেব্রুয়ারি। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও ১৫ দিন পর।