কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সশরীরে পাঠদান

Slider শিক্ষা

ঢাকা: মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আরও দুই সপ্তাহ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী জানান, দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকলে শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাস করতে পারবে। যারা দুই ডোজ নেয়নি তারা অনলাইনে ক্লাস করবে।

মহামারি করোনা জন্য ২১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সবশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বুধবার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রীর সদয় দিক নির্দেশনা গ্রহণ করি। আমাদের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আবার শুরু হবে। এখানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ক্ষেত্রে আমাদের যা নির্দেশনা আগে ছিল সেগুলো সব অনুসরণ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমাদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান যেখানে বন্ধ হয়েছিল আমরা সেখানেই শুরু করব। তারপরে আমরা চেষ্টা করবো সেই সংখ্যাকে পরিস্থিতি সাপেক্ষে বাড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় কবে যেতে পারি। সেই চেষ্টাটি থাকবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাদের শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে তারাই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে এই পাঠ গ্রহণ করতে পারবেন। যাদের নেওয়া হবে না তাদেরকে এই দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে পাঠ গ্রহণ করতে হবে।

এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ প্রায় সকলেরই হয়ে গেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন। আমাদের যে প্রজেকশন আরে তাতে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাকি সকলেরই টিকার দ্বিতীয় ডোজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। যারা প্রথম ডোজ দেরিতে নিয়েছেন হয়তো তারা বাকি থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তবে ২২ তারিখ থেকেই তারা তাদের শ্রেণিক্ষে পাঠদান শুরু করতে পারেন। তবে সকল ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার বিষয়টি থাকবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যত দ্রুত পারি ক্লাসের সংখ্যা স্বাভাবিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার টিকা নিযেছে। তার মানে লাখ দেড়েক বাকি আছে।

ফুল ফেইজে কবে থেকে ক্লাস চালু হবে- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যখন দুই ডোজ টিকা সকলের হয়ে যায় তখন চেষ্টা করবো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে। আমাদের হয়তো আরও অনেক দিন কোভিডের সঙ্গে বাস করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা দুই ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে গেছে মোটামুটি একটা স্বস্তির জায়গায় থাকতে পারবো। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় চলে যেতে পারবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *