বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে জয়ী ঘোষণার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করার বিষয়টি হাস্যকর ও আইন বহির্ভূত।
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
শনিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
জায়েদকে বাতিল করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী করা হয়েছে নিপুণকে। এই সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই মানছেন না জায়েদ খান। তিনি আপিল বোর্ডের ঘোষণাকে আইন বহির্ভূত বলে দাবি করেছেন।
গণমাধ্যমকে জায়েদ বলেন, ‘এখানে আপিল বোর্ডের কোনো মূল্য নেই। তারা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না৷ এটা আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা নেই। প্রজ্ঞাপনের পর আপিল বোর্ড কীভাবে এ রায় ঘোষণা করে? আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পান জায়েদ খান। তবে শেষ পর্যন্ত তার প্রার্থীতাই বাতিল হয়ে গেল।
এ বিষয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘দু’জন ভোটার লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান ও সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নু তাদেরকে ভোট দেয়ার জন্য নগদ অর্থ দিয়েছিলেন। এছাড়া আরো কয়েকজন ভোটার তাদের দু’জনের অর্থ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এবং কিছু ভিডিও ফুটেজে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই অর্থ প্রদানের অভিযোগটি সত্য।’
সোহান জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। জায়েদের পরিবর্তে নিপুণ সাধারণ সম্পাদক এবং চুন্নুর পরিবর্তে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে জয় পেয়েছেন নাদির খান।