ঘটনাবহুল ম্যাচে ওয়েলসের বিপক্ষে ইরানের জয়

Slider খেলা


ঘটনাবহুল ম্যাচে ওয়েলসকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ইরান। সেই সঙ্গে নক আউটের স্বপ্ন টিকে থাকল ইরানিয়ানদের। প্রথম ম্যাচে ওয়েলস ড্র করেছিল, ইরান হারে বড় ব্যবধানে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ইরান ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে এসে শেষ মুহূর্তে ২-০ গোলের দুর্দান্ত এক জয় পেলো।

আজকের আগ পর্যন্ত একবারই মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে সেই দেখায় ১-০ গোলে জিতেছিল ওয়েলস। ৪৪ বছর পর সেই বিশ্বকাপ মঞ্চেই কি দারুণ প্রতিশোধ নিল ইরান।

ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোলরক্ষক লাল কার্ড পেলে দশজনের দলে পরিণত হয় ওয়েলস। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে ইরান। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে এসে গোল করেন রোজবেহ চেশমি। এর তিন মিনিটের মাথায় আরও এক গোল, এবার জাল কাঁপান রামিন রেজাইন।

ম্যাচের ৯৭ মিনিট পর্যন্ত ০-০ স্কোরলাইনের ম্যাচ শেষের নাটকীয়তায় শেষ হলো এশিয়ান দলটির অনুকূলে– ইরান ২, ওয়েলস ০। এ জয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার আশা টিকে রইল ইরানের। আগের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ড্র করা ওয়েলস ইরানের কাছে হেরে অনেকটাই বিদায়ের পথে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) আহমেদ আলী বিন স্টেডিয়ামের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। শেষ ষোলোর আশা টিকিয়ে রাখতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় দরকার ছিল দুই দলেরই। তবে বেশি তেতে ছিল যেন ইরানই। একে তো প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার দুঃস্মৃতি। তার ওপর ইরানজুড়ে চলা নারী অধিকার আন্দোলনের পক্ষে নিয়ে প্রথম দিন জাতীয় সঙ্গীতে কণ্ঠ না মেলানো নিয়ে নানামুখী চাপ।

১৯৫৮ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা ওয়েলস আগের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। ইরানের বিপক্ষেও তারা ছিল না ছন্দে। অন্যদিকে পার্সিয়ানরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল। ৮৬ মিনিটে ওয়েলসের গোলকিপার ওয়েন হেনেসি লাল কার্ড দেখলে খুলে যায় তাদের ভাগ্য।

দ্বিতীয়ার্ধে নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে যোগ করা হয় ১৩ মিনিট। আর সেখানেই বাজিমাত করে ইরান। অষ্টম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রুজবেহ চেশমি দুর্দান্ত শটে অবিশ্বাস্য গোল করেন। তিন মিনিট যেতেই রামিন রেজাইয়ান করেন দ্বিতীয় গোল।

তবে ইরানের জন্য প্রথম ৪৫ মিনিটে হতাশার ব্যাপার ছিল। তারা জালের দেখা পেলেও এগিয়ে যেতে পারেনি। পারস্যের দেশটি ১৫ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়ে যায়। রবার্টসের বল দখলে নিয়ে ইরানের ঘোলিজাদেহ পাঠান আজমোনকে। তার কাছ থেকে ফিরতি পাসে গোল করেন ঘোলিজাদেহ, কিন্তু ভিএআরে দেখে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।

এর চার মিনিট আগে ওয়েলস দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ডানপ্রান্ত থেকে রবার্টসের বাড়ানো বলে মুরে পা বাড়িয়ে শট নেন। গোলকিপার হোসেইনি তা ফিরিয়ে দেন দারুণ দক্ষতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *