নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনসহ রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা কীভাবে মানবাধিকারের কথা বলে? ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। এমনকি আদালতের বিচারকও শান্তিতে থাকতে পারেননি।
বিএনপি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা অমানবিক কার্যক্রম চালিয়েছে, তারা এখন মানবিকতার কথা বলে। তাদেরকে আগে সামাল দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তারা নাকি এখন সব ঠিক করে দেবেন, এটি হাস্যকর। ড. মোমেন বলেন, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা নিজের অফিসের সমানে একটি র্যালি করেন। এতে গ্রেনেড হামলা করলে ২৪ জন মারা যায় এবং অনেকে পঙ্গু হন।
এ ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা এবং ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয় বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৭ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এ রূপরেখায় স্থান পেয়েছে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী পদে কেউ দুই মেয়াদের বেশি না থাকা, সংবিধান সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনসহ বেশকিছু বিষয়। যা ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ বলে উল্লেখ করেছে দলটি।