সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ঘটনাপ্রবাহ নতুন মোড় নিয়েছে। অডিও কেলেঙ্কারি এবং নারীর প্রতি অবমাননায় পদ হারানোর পর নিজের গন্তব্য ঠিক করেছিলেন কানাডা। সেখানে তিনি থিতু হবেন এমন আলোচনাই চলছিল। কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটি। তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে দুবাইতে। প্রশ্ন ওঠেছে এরপর তার গন্তব্য কোথায়? তিনি ঢাকায় ফিরতে পারেন এমন আলোচনাও চলছে ।
ডা. মুরাদ হাসানকে টরন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠায় কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর একটা ৪১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান।
দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তার
কাছে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা মুরাদ হাসানের ব্যাপারে আপত্তি জানান। তাকে কানাডায় ঢুকতে দেয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার আহাদ খন্দকার, মমিনুল হক মিলন, মাহবুব চৌধুরী রনি এবং জাকারিয়া চৌধুরী কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি, পিয়ারসন এয়ারপোর্ট অথরিটি ও ন্যাশনাল অথরিটি অব ইন্টেলিজেন্স-এর কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠি’র সঙ্গে মুরাদ হাসানের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেয়া হয়।
আহাদ খন্দকার জানান, ‘কানাডার মতো শান্তির দেশে ডা. মুরাদ এলে বাঙালি কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য মুরাদ হাসান কানাডা আসছেন এটা জানার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে কোনোভাবেই কানাডায় ঢুকতে দেয়া যাবে না। এর ভিত্তিতে মমিনুল হক মিলন কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠান।’ এ ব্যাপারে মমিনুল হক মিলন মানবজমিনকে বলেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডার জন্য সিকিউরিটি থ্রেট। তিনি নারীদের অবমাননা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না। এ জন্য তার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও ডকুমেন্ট কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-মেইলে পাঠাই। আজ (গতকাল) মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমাকে ফোন করা হয়।’