গাজীপুরে নিরুদ্দেশ বিএনপি খালি বাড়িতে চলছে পুলিশি অভিযান

গ্রাম বাংলা

gazipur bnp

গাজীপুর: চলমান লাগাতার আন্দোলনে মাঠে নেই বিএনপি। শহর গ্রাম আর রাজপথ
কোথাও বিএনপির রাজনৈতিক কোন অস্তিত্ব আছে বলে জানা যাচ্ছে না।তবে পালিয়ে
থাকা নেতাদের বাসায় পুলিশি হামলা ভাংচূররের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গাজীপুর জেলার ৬টি থানা এলাকার কোথাও বিএনপির অংগ ও সহযোগী সংগঠনেরও কোন
রাজনৈতিক কর্মকান্ড নেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে মাঝে মধ্যে চোরাগুপ্তা
হামলায় কিছু গাড়ি ভাংচূর হয়। এ ছাড়া সারা জেলায় বিএনপির মিছিল মিটিং নেই।

বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় সূত্র জানায়, হামলা মামলার ভয়ে নেতারা
ঢাকা  দিয়েছেন। অনেকে এই সময়টাকে কাজে লাগাতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশ
বিদেশ ভ্রমন করছেন। গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন পলাতক।
সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে অবস্থান
করছেন। এ ছাড়া জেলা থানার প্রথম সাঁড়ির নেতাদের নামে একাধিক মামলা হওয়ায়
তারাও পলাতক। অনেকে গ্রেফতার এড়াতে পুরাতন মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে
দিয়েছেন। মোবাইলে অবস্থান জেনে গ্রেফতার অভিযান হওয়ার খবরে তারা মোবাইল
বন্ধ করেছেন বলে জানাচ্ছেন সহকর্মীরা।

সূত্র বলছে,  পলাতক থাকা বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়
আছেন। রাজনৈতিক দাবির পক্ষে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে
যাওয়ার জন্য কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছেন।
এদিকে ২০দলীয় জোটের শরীক দল জামায়াতে ইসলামী মাঠে সক্রিয় আছে। প্রতিদিন
তারা ঝটিকা মিছিল করছেন। কোথাও পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও
হচ্ছে।

পালিয়ে থাকা গাজীপুর জেলা বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন
তালুকদার  বলেছেন, নেতাদের নামে মামলার বোঝা। পালিয়ে থাকলেও
খালি বাড়িতে প্রতিদিন পুলিশ যায়। না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূইয়া
বলেছেন, আমরা চোর ডাকাত নই। রাজনীতি করি। কিন্তু পালিয়ে
থাকলেও পুলিশ বাসা বাড়িতে গিয়ে ভাংচূর করে। গালিগালাজ করে। তিনি ক্ষোভ
প্রকাশ করে বলেছেন, এই সংস্কৃতি চালু হলো। ভবিষৎতে পুনারবৃত্তি ঘটবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *