গ্রাম বাংলা ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক, ঢাকা: বিশ্বকাপের বৃষ্টিভেজা দ্বিতীয় ম্যাচে পেরাল্টার ৬১ মিনিটের গোলে জয় পেয়েছে মেক্সিকো। জিওভান্নি দস সান্তোসের জোরালো শট ক্যামেরুনের গোলরক্ষক ইতানজিডি আটকে দিলেও ছুটে এসে ফিরতি বলটিকে ক্যামেরুনের জালে পৌঁছে দেন পেরাল্টা।
মেক্সিকোর তারকা স্ট্রাইকার হাভিয়ের হার্নান্দেজকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে পেরাল্টাকে মাঠে নামান মেক্সিকো কোচ মিগুয়েল হেরেইরা। আর এ সিদ্ধান্তের সমুচিত প্রতিদান দেন পেরাল্টা দলকে জয় এনে দিয়ে। তার একমাত্র গোলেই কাঙ্ক্ষিত জয় পায় মেক্সিকো।
খেলার প্রায় পুরোটা সময় বল পজেশন ধরে রেখে খেলায় নিয়ন্ত্রণ রাখা মেক্সিকোকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৬১ মিনিট পর্যন্ত। যদিও প্রথমার্ধেই দু’বার ক্যামেরুনের জালে বল জড়ান মেক্সিকোর প্লেমেকার দস সান্তোস, তবে তা বিতর্কিত অফসাইডের খাড়ায় পড়ে বাতিল হয়। অন্যদিকে ক্যামেরুনেরও একটি গোল বাতিল করেন লাইন্সম্যান।
এক গোল হজম করার পর ক্যামেরুন খেলায় ফেরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ৮৬ মিনিটে মৌকান্ডজোকে কড়া ট্যাকল করে ক্যামেরুনের আক্রমণ নস্যাৎ করেন রড্রিগেজ। এরপর ৯০ মিনিটে মৌকান্ডজোর জোরালো হেডও প্রতিহত করেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়া।
খেলায় ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখে ১-০ গোলের এ জয়ের আসল নায়ক মেক্সিকোর প্লেমেকার জিওভান্নি দস সান্তোস। দু’ দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল না হলে হয়তো দলকে বড় জয়ই এন দিতে পারতেন।
প্রথমার্ধ গোল শূন্য হওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্যামেরুনকে চেপে ধরে মেক্সিকো। বিরতি পর ৪৮ মিনিটেই দস সান্তোসের অসাধারণ পাস থেকে মেক্সিকোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান পেরাল্টা। কিন্তু বলের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা ক্যামেরুনের গোলরক্ষক ছুটে এসে আটকে দেন পেরাল্টার শট।
এরপর ৫৭ মিনিটে ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড এমবিয়া তীব্র গতিতে পাল্টা আক্রমণে গেলে মেক্সিকো ডিফেন্ডার মরেনো অবৈধভাবে ট্যাকল করেন। এরফলে এ খেলার প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন মরেনো।
এর আগে খেলার প্রথমার্ধেই তিন তিনটি গোল বাতিল করেন দুই লাইন্সম্যান। বাতিল হওয়া তিন গোলের দুটি করেন মেক্সিকো স্ট্রাইকার সান্তোস, ক্যামেরুন স্ট্রাইকার ইতো।
বল মাঠে গড়াতেই ক্যামেরুনকে চেপে ধরে মেক্সিকোর খেলোয়াড়েরা। খেলার ৩ মিনিটেই ডান পাশ দিয়ে মারকুয়েজ ও পেরাল্টার ওয়ান টু ওয়ানে খেলে আক্রমণ করেন, পেরাল্টার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর বেশ কয়েকবার ক্যামেরুনের ডিফেন্স ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়েলেও গোল করতে পারেননি মেক্সিকোর ফরোয়ার্ডরা।
১২ মিনিটে মারকুয়েজের ডিফেন্স চেরা পাস ঠান্ডা মাথায় ক্যামেরুনের গোলরক্ষক ইতানজিকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান জিওভান্নি। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের বাঁশি বাজিয়ে গোলটি বাতিল করেন।
১৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ক্যামেরুনের করা একটি গোলও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর ২২ মিনিটে ইতোর জোরালো শট মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়া নিপুণ দক্ষতায় আটকে দেন।
খেলার ৩০ মিনিট পর্যন্ত দু’দলের আকমণ পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। এ সময় চৌপো-মোটিংয়ের কর্নার কিক থেকে জিওভান্নি দস সান্তোসের আরও একটি গোল বাতিল করেন লাইন্সম্যান।
এরপর খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আরও কিছু আকমণ করলেও মেক্সিকো পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোল। প্রথমার্ধ থেকে যায় গোল শূন্য।