ফ্রোজেন শোল্ডার চিনবেন কোন উপায়ে?

Slider লাইফস্টাইল

অফিসে কাজ করছিলেন হঠাৎ শুরু হলো কাঁধে ব্যথা। ল্যাপটপে টাইপ করতে পারছেন না কিছু। হাত নাড়াতে পারছেন না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে সাময়িক উপশম পেলেও আবার ফিরে আসছে ব্যথা। কী করবেন?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ কেন হয় তা নিয়ে কোনো সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। কিন্তু সব বয়সের মানুষই প্রায়শই কাঁধে অপ্রত্যাশিত ব্যথা অনুভব করেন। যা দৈনন্দিন জীবনে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যথার কারণে রুটিন অনুযায়ী দৈনন্দিন কাজগুলো করা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। তাই ডাক্তারি পরামর্শ করা জরুরি।

কাঁধ (গ্লেনোহুমেরাল জয়েন্ট) উল্লেখযোগ্যভাবে নমনীয়। জয়েন্টে একটি বল এবং সকেট গঠন থাকে। যেখানে হাতের হিউমারাস গ্লেনয়েড, স্ক্যাপুলার সাথে যুক্ত থাকে। জয়েন্টটি একটি নমনীয় ক্যাপসুল যা সাইনোভিয়াল তরল দিয়ে ভরা। এই ফ্লুইডের কারণেই আমরা ইচ্ছেমত হাত ঘোরাতে পারি।

কোন কোন উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

দৃঢ়তা :
ফ্রোজেন শোল্ডার থাকলে কাঁধ সাধারণত শক্ত হতে শুরু করে। এবং সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। আক্রান্ত কাঁধ ধীরে ধীরে নড়াচড়া করা বন্ধ করে দেয়।

ব্যথা :
ফ্রোজেন শোল্ডার আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি অবিরাম ব্যথা অনুভব করেন। এবং অসম্ভব যন্ত্রণার ফলে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। দৈনন্দিন কাজকর্ম করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে।

ক্রমান্বয়ে শুরু :
এই অবস্থার সম্পূর্ণ বিকাশ হতে সাধারণত দুই থেকে ৯ মাস সময় লাগে। তবে উপসর্গ শরীরে দেখা দিতে শুরু করলেই ডাক্তারি পরামর্শ নিন দেরি না করে।
সূত্র : আজকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *