কর্মীদের রক্ষা করতে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন জাতীয় পার্টি বিজেপির প্রার্থী আন্দালিভ রহমান পার্থ। রোববার বেলা সোয়া একটার তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের কারণ প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘আর তিন ঘণ্টা বাকি আছে। আমি কী শুধু শুধু আমার এজেন্ট বা কর্মীদের মার খাওয়াব?’
ঢাকা-১৭ আসনে পার্থের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। চলচ্চিত্র জগতে নায়ক ফারুক হিসেবে তিনি পরিচিত। আন্দালিভ পার্থ অভিযোগ করে বলেন, ৮০ টি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা বেপরোয়াভাবে তাঁর কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে।
পার্থ বলেন, ‘বনানী বিদ্যা নিকেতনে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়েছে। গুলশানের অনেক কেন্দ্রে জোর করে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়েছে। কড়াইল এলাকায় কাউকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।’ পার্থ জানান, এবার নির্বাচনে তার ৫০০ এরও বেশি পোলিং এজেন্ট প্রস্তুত ছিল।
নির্বাচন বর্জনের এই সিদ্ধান্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলেও জানান পার্থ।
ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের উপর হামলার অভিযোগে ভোট বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। রোববার দুপুরে বারিধারার বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। আন্দালিব রহমান অভিযোগ করে বলেন, এটা স্মরণকালের কলঙ্কিত নির্বাচন। ভোটাদেরকে ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। সকাল থেকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারছে। আমার এজেন্টদের উপর হামলা করে কেন্দ্রে থেকে বের করে দিয়েছে। যারা ভোট দিতে গেছেন তাদের ব্যালট পেপার টেবিলের ওপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করছে আওয়ামী লীগের লোকজন। তিনি বলেন, কালাচানঁপুর ভোট কেন্দ্রে স্থানীয় কমিশনার বাবুলের নেতৃত্বে এজেন্টদের উপর হামলা করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এমনকি মহিলা এজেন্টরা ও রক্ষা পায়নি তাদের হাত থেকে।
তাছাড়াও শাহাজাতপুর, টিএনটি স্কুল, করাইল মাদ্রাসা, বনানী, ভাসানটেক প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই কারচুপি চলমান পুলিশের সামনে এসব ঘটনা ঘটলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। ৬০ থেকে ৭০ কেন্দ্র ঘুরেছেন দাবি করে পার্থ বলেন, সব কেন্দ্রেই আমার এজেন্ট ও সমর্থক ও ভোটারদের বাধা দেয়া হচ্ছে।