ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের

Slider খেলা

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪৮.২ ওভারে ২২৭/১০, লক্ষ্য ৩৬৫ (মোস্তাফিজ ৩*; তানজিদ ১, শান্ত ০, সাকিব ১, মিরাজ৮, লিটন ৭৬, মুশফিকুর রহিম ৫১, তাওহীদ হৃদয় ৩৯, শেখ মেহেদী ১৪, শরিফুল ১২, তাসকিন ১৫)

ফল: ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে জয়ী।

ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৬৪/৯ (মালান ১৪০, রুট ৮২, বেয়ারস্টো ৫২)

৩৬৫ রানের বিশাল রান পাহাড়েই শেষ পর্যন্ত চাপা পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে ১৩৭ রানে।

জয়ের লক্ষ্যে ৪৯ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তানজিদ, নাজমুল শান্ত, সাকিব ও মেহেদী মিরাজ কোনও অবদান রাখতে পারেননি। যার ধাক্কাটা পরের ব্যাটাররা আর সামাল দিতে পারেননি। ওপেনার লিটস দাস ৬৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে হার ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা না হওয়ায় কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রয়োজনের সময় বড় জুটি না হওয়ায় ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে গেছে। মুশফিক ৫১, হৃদয় ৩৯ রানে থেমেছেন। শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২২৭ রানে। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন রিস টপলি। ৪৯ রানে দুটি নিয়েছেন ক্রিস ওকস। একটি করে নিয়েছেন স্যাম কারান, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।

বড় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

হৃদয়ের বিদায়ের পর মেহেদীর আউটে পড়ে অষ্টম উইকেট। শেষটায় শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে রান তুলতে থাকেন শরিফুল ও তাসকিন। শরিফুলকে বোল্ড করে নবম উইকেট তুলে নেন উড।

মেহেদীর বিদায়ে পড়লো অষ্টম উইকেট

হৃদয়ের বিদায়ের প্রতিরোধ আরও দুর্বল হয়ে পড়ে বাংলাদেশের। হৃদয়ের আউটের পরের ওভারে মেহেদীকে বোল্ড করেন আদিল রশিদ। ১৪ রান করা এই ব্যাটারের আউটে অষ্টম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের।

৩৯ রানে থামলেন হৃদয়

অভিজ্ঞরা ফিরে গেলেও হৃদয় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৩৯.১ ওভারে তাকে ৩৯ রানে থামিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। লিভিংস্টোনের লেগ স্পিন হৃদয় বুঝতে পারেননি। বল তার ব্যাটে লেগে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়েছে।

ফিফটির পর মুশফিককে ফেরালেন টপলি

লিটনের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। ফিফটিতে ইনিংসটা আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। কিন্তু ফিফটির পরই শর্ট বলে ডিপ থার্ডে মুশফিককে ক্যাচে পরিণত করেছেন টপলি। বিদায় নেওয়ার আগে মুশফিক ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার।

রিভিউতে রক্ষা হৃদয়ের

২৭.২ ওভারে রশিদের বলে হৃদয় এলবিডাব্লিউ মনে হয়েছে ভেবে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। হৃদয় অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বল প্যাডে লাগার আগে তার ব্যাট ছুঁয়েছে। রিভিউ নিতে দেরি করেননি। তাতে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

লিটনকে থামালেন ওকস

৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল বাংলাদেশ। কঠিন সেই পরিস্থিতিতে প্রান্ত আগলে একার লড়াইয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন লিটন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দুর্ভাগ্য ২১তম ওভারে লিটনকে অফ কাটারে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন ক্রিস ওকস। লিটন বলটা ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। তাতে ৬৬ বলে ৭৬ রানে শেষ হয়েছে তার ইনিংস। লিটনের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়। লিটন-মুশফিকের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে যোগ হয়েছে ৭২ রান।

বাংলাদেশের রান একশ ছাড়িয়েছে

৪৯ রানে চার উইকেট হারানোর পর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ব্যাটে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়ালো। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে দলকে তিন অঙ্কের ঘরে নেন তিনি।

লিটনের হাফ সেঞ্চুরি

বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে আশার আলো জ্বালিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করলেন লিটন দাস। ৩৮ বলে ৭ চার ও এক ছয়ে ফিফটি করেন তিনি ১১তম ওভারে। দল ততক্ষণে চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। বিশ্বকাপে এটি লিটনের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি এবং ক্যারিয়ারের ১১তম। গত আসরে টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৪ রান করেছিলেন তিনি।

পাওয়ার প্লেতে চার উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশের ৫৭ রান

বিশাল লক্ষ্যে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল। ক্রিস ওকসকে টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন লিটন দাস। তার পরের ওভারে বিপর্যয়। পরপর দুই বলে রিচি টপলি ফেরান তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। সাকিব আল হাসানও ধরতে পারেননি হাল। টপলি তাকে বোল্ড করেন। পাঁচে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ সেট হওয়ার আগেই বিদায় নেন। ৪৯ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ করে আরও ৮ রান যোগ করে। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৫৭ রান।

দলকে বিপদে রেখে প্যাভিলিয়নে সাকিব, মিরাজ

দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি সাকিব আল হাসান। রিচি টপলির তৃতীয় শিকার হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৯ বলে মাত্র ১ রান করে বোল্ড হন তিনি। ২৬ রানে তিন উইকেট হারালো বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ হয়েছেন। দলীয় ৪৯ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়েন তিনি। মাত্র ৮ রান করে ক্রিস ওকসের শিকার মিরাজ। ক্যাচ দেন জস বাটলারকে।

লিটনের হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি, তানজিদ-শান্তর বিদায়

ক্রিস ওকসকে তৃতীয় বল থেকে টানা তিনটি চার মেরে লিটন দাস দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশকে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাতে ছন্দ হারালো বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ে ধাক্কা খায় দল। রিচি টপলির বলে সেকেন্ড স্লিপে জনি বেয়ারস্টোর ক্যাচ হন বাংলাদেশি ওপেনার। ২ বলে মাত্র ১ রান করেন তানজিদ। পরের বলে নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাকওয়অর্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন লিয়াম লিভিংস্টোনকে। গোল্ডেন ডাক মারেন বাংলাদেশি ব্যাটার। সাকিব আল হাসান টপলিকে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেতে দেননি।

ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করলেও বাংলাদেশের সামনে রানপাহাড়

ডেভিড মালানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরই করেছে ইংল্যান্ড। তবে ডেথ ওভারে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় বোলিং করেছে। ৩ উইকেটে ২৯৮ রানে শেষ পাওয়ার প্লেতে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে শেখ মেহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলাম দারুণ বোলিং করেন। তাতে আরও ৬ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ, দেয় ৬৬ রান। ইংল্যান্ড ৫০ ওভার শেষে করেছে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান।

ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেও বাংলাদেশকে জিততে হলে টপকাতে হবে রানপাহাড়। ডেথ ওভারে তিনটিসহ মোট চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার মেহেদী, ৮ ওভারে ৭১ রান দেন তিনি। শরিফুল পেয়েছেন তিন উইকেট। ১০ ওভারে ৭৫ রান দেন তিনি।

হৃদয়-শান্তর মিলিত প্রচেষ্টায় মেহেদীর চতুর্থ উইকেট

আদিল রশিদের শট ধরে ফেলার পর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। তবে বল ছুড়ে দেন সামনের দিকে। তারপর বাউন্ডারির সীমানা ছাড়িয়ে যান তিনি। ততক্ষণে নাজমুল হোসেন শান্ত বল লুফে নেন। দুজনের দারুণ প্রচেষ্টায় ৩৫২ রানে অষ্টম উইকেট পেলো বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী হাসানের চতুর্থ উইকেট। শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদ ক্রিস ওকসকে মেহেদীর ক্যাচ বানান।

ব্রুকের পর কারানকে প্যাভিলিয়নে পাঠালেন মেহেদী

৪৫তম ওভারে লং অফে লিটন দাসের ক্যাচ হলেন হ্যারি ব্রুক। ১৫ বলে তিন চারে ২০ রান করে শেখ মেহেদী হাসানের শিকার তিনি। ৩২৭ রানে ইংল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেট পায় বাংলাদেশ। মেহেদী তার পরের ওভারে স্যাম কারানকে লং অফে নাজমুল হোসেনন শান্তর ক্যাচ বানান। ১৫ বলে ১১ রান করেন ইংলিশ ব্যাটার। ৩৩৬ রানে সপ্তম উইকেট নেই ইংল্যান্ডের।

টানা দুই বলে উইকেট পেলেন শরিফুল

জস বাটলারকে ফেরানোর পর শরিফুল ইসলাম আরেকটি ওভারে টানা দুটি উইকেট পেলেন।

৪২তম ওভারের শেষ দুটি বলে জো রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে থামান বাংলাদেশি পেসার। প্রথমে রুটকে ৮২ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। পরের বলে লিভিংস্টোনের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। ৩০৭ রানে ৫ উইকেট পেলো বাংলাদেশ। পরের ওভারের প্রথম বলটি শরিফুল করেছিরেন হ্যাটট্রিকের আশায়। কিন্তু স্যাম কারান দুটি রান নিয়ে তাকে ব্যর্থ করেন।

ইংল্যান্ড অধিনায়ককে ফেরালেন শরিফুল

ক্রিজে নেমে দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন জস বাটলার। আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। পারেননি বেশিদূর যেতে। শরিফুল ইসলামের করা ৪০তম ওভারের প্রথম বলে চার মারেন। দুই বল পর স্লোয়ার ডেলিভারিতে থামেন অধিনায়ক। বল তার ব্যাটে লেগে নিচু হয়ে অফস্টাম্পে আঘাত করে। ১০ বলে একটি করে চার ও ছয়ে ২০ রান করেন বাটলার। ৩ উইকেটে ২৯৮ রান করে শেষ পাওয়ার প্লেতে খেলা শুরু করলো ইংল্যান্ড।

মালানকে থামালেন মেহেদী

৩৮তম ওভারের প্রথম বলে চার মারেন ডেভিড মালান। জো রুটের সঙ্গে তার জুটি পৌঁছায় ১৫০ রানে। পরের বলেই তাকে থামান শেখ মেহেদী হাসান। ১০৭ বলে ১৬ চার ও ৫ ছয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৪০ রানে বোল্ড হন ইংলিশ ওপেনার। ভেঙে যায় ১৫১ রানের জুটি। দলীয় ২৬৬ রানে বাংলাদেশ পেলো দ্বিতীয় উইকেট।

গ্রাহাম গুচকে টপকালেন রুট

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন জো রুট। ১৯ ম্যাচ খেলে তার রান ৮৯৮। পেছনে ফেলেছেন গ্রাহাম গুচকে (৮৯৭)

মালানের সেঞ্চুরি, রুটের হাফ সেঞ্চুরিতে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

১১৫ রানে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট পায়। তবে ডেভিড মালান শক্ত হাতে দাঁড়িযে গেছেন। জো রুট তার সঙ্গে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরি বানাতে মালান খেলেছেন আরও ৫২ বল। ৯১ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে শতক হাঁকান তিনি। এই বছর এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। এক বর্ষপঞ্জিকায় ইংল্যান্ডের জার্সিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি হাঁকানোর তালিকায় ডেভিড গাওয়ার (১৯৮৩) ও জনি বেয়ারস্টোর (২০১৮) সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে বসলেন তিনি। ২৩ ইনিংস খেলে সবচেয়ে দ্রুততম ছয় সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন মালান। ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি অতিক্রম করেন তিনি। তার দুটি করে চার ও ছয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের এই ওভারে ২২ রান তোলে ইংল্যান্ড।

পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেন রুট। ৪৪ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে ফিফটি করেন তিনি। পরের ওভারে তাওহীদ হৃদয়ের হাত ফসকে জীবন পান রুট।

সাকিবের হাত ধরে এলো প্রথম সাফল্য

অবশেষে বাংলাদেশ পেয়ে গেলো অতি প্রয়োজনীয় উইকেট। ১৮তম ওভারে সাকিব আল হাসান ভেঙে দিলেন ১১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। জনি বেয়ারস্টো ফ্লিক করতে গিয়ে বল ইনসাইড এজ হয়ে লেগস্টাম্পে আঘাত করে। ৪৯ বলে ৮ চারে ৫২ রানে বিদায় নেন ইংলিশ ব্যাটার।

শততম ম্যাচে বেয়ারস্টোর হাফ সেঞ্চুরি

১৬তম ওভারে সাকিব আল হাসানের শেষ বলে দুটি রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করলেন জনি বেয়ারস্টোও। নিজের শততম ওয়ানডে স্মরণীয় করে রাখলেন ১৬তম ফিফটিতে। ৫৪ বলে ৮ চার মেরেছেন তিনি।

বিশ্বকাপে মালানের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি

এবারের বিশ্বকাপে ডেভিড মালানকে নিয়ে প্রত্যাশা কম নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৪ রানে আউট হয়ে হতাশ করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঝকঝকে ইনিংস খেলে পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। ১৪তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ ছোঁন তিনি। এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ৩৯ বল, ছিল সাত চার ও দুই ছয়।

পাওয়ার প্লেতে ৬১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য বাংলাদেশ

১০ ওভারের খেলা শেষ। পাওয়ার প্লেতে নেই বাংলাদেশের বোলারদের কোনও সাফল্য। জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালানের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছে। ৬১ রান নিয়েছে তারা।

পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মালানের বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আপিল করে উল্লাসে মাতে। আম্পায়ার আহসান রাজা আউট দেননি। দ্রুত রিভিউ নেন সাকিব আল হাসান, কিন্তু আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। একই ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার ও ছক্কা মেরে মালান সাকিবদের হতাশ করেন।

মোস্তাফিজের চমৎকার বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরু

প্রথম বলটি ব্লক করেন জনি বেয়ারস্টো। নিজের শততম ওয়ানডেতে রানের খাতা খোলেন দ্বিতীয় বলে। স্ট্রাইকে গিয়ে টানা তিন বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ডেভিড মালান। ষষ্ঠ বল থেকে কভার দিয়ে চার রান আদায় করেন ইংলিশ ওপেনার। প্রশ্নবিদ্ধ আউটফিল্ডের কারণে শরিফুল ইসলাম ডাইভ দিয়ে বল ঠেকানোর ঝুঁকি নেননি। বাঁহাতি কাটার মাস্টার তার পরের ওভারে মাত্র এক রান দেন। মাঝে তাসকিন আহমেদের ওভার থেকে ৫ রান বের করে নেয় ইংলিশরা।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, বাদ মাহমুদউল্লাহ

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড মুখোমুখি। ধর্মশালায় টস জিতেছেন সাকিব আল হাসান এবং ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ, জায়গা করে নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। ইংল্যান্ড দলেও একটি পরিবর্তন। মঈন আলীকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে রিচি টপলিকে।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ মুখোমুখি লড়াইয়ে সমানে সমান, চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয় পেয়েছে দুই দলই। ২০০৭ সালে প্রথম দেখায় হারলেও পরের দুই আসরে বাংলাদেশ জিতেছে। ২০১৯ সালের আসরে বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা।

ধর্মশালায় আগের ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোয় বাংলাদেশ কিছুটা সুবিধা পাবে। কারণ আউটফিল্ড নিয়ে নানান সমালোচনা হলেও তাদের সুর ভিন্ন। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই খেলতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার আউটফিল্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে বেন স্টোকসকে নামানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না তারা।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

ইংল্যান্ড একাদশ: জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (উইকেটকিপার), লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, মার্ক উড, রিস টপলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *