দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস

Slider খেলা


দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সব কটি উইকেট হারিয়ে টাইগাররা করেছে মাত্র ২১৭ রান। লাল সবুজের প্রতিনিধিরা পিছিয়ে আছে ২৩৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন

দ্বিতীয় টেস্টে প্রোটিয়াদের ইনিংসের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিন ওপেনার ও প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন দলীয় ৩ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবাল মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। দলীয় ৮২ রানের মাথায় আউট হন তামিম। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে তাকে শিকারে পরিণত করেন উইয়ান মুল্ডার। ৫৭ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান দেশসেরা ওপেনার।

তামিম আউট হওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সেই মুল্ডারই। টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক নামের পাশে যোগ করতে সক্ষম হন মাত্র ৬ রান। তার সবশেষ দশটি ইনিংসকে পাশাপাশি সাজালে দাঁড়ায়- ০, ১,৭, ৮৮, ১৩, ০, ৩৭, ০, ২, ৬। যার গড় ১৭.১১। মুমিনুল ফিরে গেলে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে লড়াই করে বাংলাদেশ। তবে লিটন বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি প্রোটিয়া বোলারদের তোপের সামনে। ১৪ বলে ১১ রান করে অলিভিয়েরের বলে সরাসরি বোল্ড আউট হন তিনি। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা তোলে ১৩৯ রান।

তৃতীয় দিনের শুরুতেই বৃষ্টি হানা দেয় পোর্ট এলিজাবেথে। বৃষ্টির বাগড়ার পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলির জুটিতে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। এ দুজনের ব্যাটে তৃতীয় দিন স্কোরবোর্ডে যোগ হয় আরও ৫৩ রান। এরপর ইয়াসির আলিকে শিকারে পরিণত করেন মহারাজ। ৮৭ বলে ৪৬ রান করে আউট হয়েছেন ইয়াসির। মহারাজ নিজের বলে নিজেই ইয়াসিরের ক্যাচ ধরেন।

ইয়াসির আউট হওয়ার সময় মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৪২ রান নিয়ে। নামের পাশে আর ৯ রান যোগ করার পর মুশফিককে ফিরিয়ে দেন সিমন হারমার। ১৩৬ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাইজুল ইসলাম আউট হন ৫ রান করে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও ১১ রানের মাথায় মহারাজের শিকার হন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন এবাদত হোসেন। প্রোটিয়াদের হয়ে তিনটি করে উইকেট পান হারমার ও মুল্ডার। দুটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও অলিভিয়ের।

এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৫৩ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন কেশভ মহারাজ। এলগার ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করেন কিগান পিটারসেন, টেম্বা বাভুমা ও ডিন এলগার। পিটারসেন ৬৪, বাভুমা ৬৭ ও এলগার ৭০ রান যোগ করেন স্কোর বোর্ডে। বাকিদের মধ্যে রায়ান রিকেলটন ৪২, উইয়ান মুল্ডার ৩৩ ও সিমন হারমার ২৯ রান করে। এদের মধ্যে ডিন এলগার, কিগান পিটারসেন, রায়ান রিকেলটন, উইয়ান মুল্ডার, কেশভ মহজারাজ ও সিমন হারমারের উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *