মীরজাফর, খন্দকার মোশতাকরা প্রতিদিনই তৈরি হয় : শামীম ওসমান

Slider টপ নিউজ


নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশে করোনার মতো অনেক বিষাক্ত পদার্থ ঢুকে পড়েছে। যা চোখে দেখা যায় না। করোনা তো প্রতিরোধ করতে পারবেন। কিন্তু এই বিষাক্ত পদার্থগুলো দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই। তারা আনাচে-কানাচে ঢুকে পড়ছে। করোনা চলে যাবে কিন্তু এই বিষাক্ত পদার্থগুলো যারা লেবানন, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান সৃষ্টি করেছে। তারা যদি এই দেশেও এমনটা করতে পারে তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে একটা দেশ নয় বরং একটা জাহান্নাম রেখে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, নেলসন মেন্ডেলা হাজার বছরে একবার আসে। কিন্তু মীরজাফর, খন্দকার মোশতাকরা প্রতিদিনই তৈরি হয়। নারায়ণগঞ্জেও এমনটা আছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শয্যা হাসপাতালে করোনার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন,এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি ছিল এবং আছে। বঙ্গবন্ধুকে অতিরিক্ত ভালোবাসার কারণে এবং এখানে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন সময় বঞ্চিত হয়েছে। অথচ জাতীয় রাজস্বের ২৫ ভাগ কিন্তু নারায়ণগঞ্জ থেকে যায়। সুতরাং এই নারায়ণগঞ্জ অনেক কিছু ডিজার্ভ করে।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে বড় বড় কাজগুলো সব নিয়ে আসছি। লিংক রোড, ডিএনডি এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু কিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আট মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর সচিবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সম্মিলিত উদ্যোগে এই হাসপাতালে আইসিইউ আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যে কাজগুলো করতে পেরেছি তার মূল ভূমিকায় নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকেরা। বিশেষ করে করেনাকালীন সময়ে মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া এমনকি হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। এসবের ভিডিও ধারণ করে আমার কাছে পাঠাইছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার নামে একটি মেডিকেল কলেজের প্রস্তাব দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবনটি খালি পড়ে আছে। আমি আইনমন্ত্রীকে ভবনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের কথা বলেছি। এটাকে শুধু মাত্র হার্টের রোগীর জন্য হার্ট ইনস্টিটিউট করা হোক। পাশাপাশি জেলার দুই হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করারও কথা জানিয়েছি। আশা করি শীঘ্রই কোনো ফলাফল পাবো। বিভিন্ন মানসিকতার সাংবাদিকতা থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক। মেডিকেল কলেজের জন্য সাংবাদিকরা লেখালেখি করলে আমাদের কাজটা আনতে সুবিধা হবে। কারণ এটা আমাদের প্রাপ্য।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস সাহা, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু, জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহা, জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিধান চন্দ্র পোদ্দার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *