ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও মানবপাচার চক্রের ছয় সদস্যের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন- চাদঁপুরের মো. জাহাঙ্গীর (৪৫), পটুয়াখালীর মো. মামুনুর রশিদ (৪৬), কক্সবাজারের আব্দুল খালেক (৫৫), ভোলার কামরুল ইসলাম ওরফে হৃদয় খান (২৮) ও খাগড়াছড়ির আবু সুফিয়ান (৪৮) এবং পাকিস্তানি আব্দুল্লাহ সেলিম (৪২)।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় বিমানবন্দর থানা পুলিশ। শুনানি শেষে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী কামরুল ইসলামের আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক কোটি ভারতীয় জাল রুপি, ২১টি পাকিস্তানি পাসপোর্ট, বিপুলসংখ্যক জাল সিলসহ আন্তর্জাতিক মুদ্রা এবং মানবপাচার চক্রের ওই ছয় সদস্যকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃতরা আন্তর্জাতিক মাফিয়া ডন চক্রের সহযোগীদের সহায়তাকারী। চক্রের ওই সহযোগীরা পাকিস্তানে অবস্থান করে এবং আটক ছয়জনের সাহায্যে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে ভারতীয় জাল রুপি পাচার করে আসছেন।
আটককৃত ছয়জনের মধ্যে কামরুল ইসলাম বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে একটি বেসরকারি দোকানের কর্মকর্তা। তিনি চক্রটির সঙ্গে জড়িত যাত্রীদের ভারতীয় জাল মুদ্রাসহ ইমিগ্রেশন ও গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করতে সাহায্য করে আসছিলেন। আর জাহাঙ্গীর, খালেক ও পাকিস্তানি আব্দুল্লাহ সেলিম চক্রটির সমন্বয়ের কাজ করছিলেন।
র্যাব জানায়, চক্রটি মানবপাচারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তারা জাল সিল তৈরি ও স্বাক্ষর করেন। যেসব পাকিস্তানি বাংলাদেশে এসে বৈধ হচ্ছে তাদের জাল অনুমতিপত্র তৈরির মাধ্যমে এখানে অবৈধভাবে অবস্থান করার সুযোগ করে দিচ্ছেন চক্রের সদস্যরা।
পরে আটককৃতদের বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ ও মামলা করা হয়।