সার্চ কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করেনি জাসদ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সার্চ কমিটির জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে কোন নাম প্রস্তাব করেননি বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বুধবার বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। এদিন বিকাল চারটায় হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। প্রায় সোয়া এক ঘন্টা পরে বঙ্গবভন থেকে বের হন তারা।

সংলাপে অংশ নেয়া প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন- জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যনির্বাহী সভাপতি রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন, সহ সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ, রেজাউল করিম তানসেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের সম্পূর্ণ এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের। জাসদসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন আমরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক হবে এবং দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কমিশন উপহার দিতে প্রেসিডেন্টের সাহায্য হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থা পাঁচ বছর পর পর হয়। এর স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য প্রেসিডেন্ট যাতে তার ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে একটা আইনি কাঠামো তৈরি করার জন্য সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দেন এ জন্য আমরা প্রেসিডেন্টকে আহবান জানিয়েছি।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি সাংবিধানিক অবস্থার মধ্য দিয়ে হওয়াই বাঞ্চনীয়। আমরা সেখানে পরিষ্কার বলেছি, আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সার্চ কমিটি গঠন করা বাঞ্চনীয়। সেজন্যই আমরা জাসদের তরফ থেকে কোন নাম প্রস্তাব করা সমীচীন মনে করেনি। আমরা অনুসন্ধান কমিটিতে (সার্চ) নাম প্রস্তাব করে রাষ্ট্রপতিকে ভারাক্রান্ত করতে চাইনি। এর বাইরে আপাতত আমরা কোন প্রস্তাব দেয়নি।
জাসদ সভাপতি বলেন, যেহেতু প্রেসিডেন্ট সংবিধানের রক্ষক সেহেতু সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উনি ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন করবে সংসদ এবং সরকার। আমরা ওনাকে ভূমিকা রাখতে বলেছি। সরকারকে পরামর্শ দিতে বলেছি। যেন সরকার ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েকটা কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এতে কখনো বিতর্ক দেখা দিয়েছে, কখনো বিতর্ক দেখা দেয়নি। তাই সকলকে সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য প্রেসিডেন্টকে সহযোগিতা করা বাঞ্চনীয় বলে মনে করেছি।
ইনু বলেন, সার্চ কমিটি অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা বলেছি, সার্চ কমিটি যদি নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে কোন নাম চায় তাহলে আমরা সেখানে সহযোগিতা করবো। আমরা শুধু অনুরোধ করেছি যে ধরণের মানুষই দেন না কেন তারা যাতে ম্যান অফ ইন্টিগ্রিটি হয়। কে কোন মতের, কোন পেশার লোক সেটা কোনো বড় কথা নয়। যদি তারা দক্ষ, সৎ হন তাহলে নতুন নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন উপহার দিবে।
বিএনপির সমালোচনা করে ইসু বলেন, নির্বাচন কমিশনের গঠনের এই সংলাপকে যারা নাটক বলছেন তাদের শুধু বলবো, সংলাপে অংশ নিলেতো বুঝবেন এটা প্রহসন না, ভালো জিনিস। সুতরাং সংলাপে না গিয়ে এটাকে প্রহসন বলা বাঞ্ছনীয় না। বিএনপিতো ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। সুতরাং তার আগামী নির্বাচনও বানচাল করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে সংলাপ বানচাল করতে চাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *