ভাস্কর্য নিয়ে স্ট্যাটাস- দুই ছাত্রলীগ নেতা স্থায়ী বহিষ্কার

Slider রাজনীতি


ভাস্কর্য নিয়ে স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হয়েছেন দু’জন নেতা। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসাইন ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক খালেদ খান রবিন।

কবির হোসাইন ১লা ডিসেম্বর ফেসবুকে লেখেন, মামুনুল হক যদি কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে, তার কণ্ঠনালী কেটে দাও, যদি কুরআন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, আল্লাহ এটাকে হারাম করে, তবে কোন বাপের বেটা এটাকে হালাল করার সাহস রাখে? কুরআনোর বিরোধিতা যেই করবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ১ সেকেন্ডও অপেক্ষা করবে না ঈমানদাররা! হোক সে মামুনুল হক, মুজিব, জিয়া! হোক সে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাম বা জামায়াতি!

ইসলামের প্রতিনিধিত্ব রহিমুদ্দি, সলিমুদ্দি, কলীমুদ্দিরা করে না, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল করেন! ইসলাম শিখতে হলে কুরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, মনগড়া যুক্তি খাটবে না! একটা কথা মাথায় রাখবেন, আল্লাহর কোন আইন যদি আপনি না পালন করতে পারেন, সেটা অন্য কথা! তবে যদি তার কোন আইনের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা, অস্বীকারও যদি করেন, আর নিজেকে যতই ঈমানদার দাবি করেন না কেন, মনে রাখবেন, আপনি খাঁটি মুসলমান না, পাক্কা মুনাফিক! আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করাও খাঁটি মুসলমানের জন্য ফরজ!
৫ই ডিসেম্বর শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় কবির হোসাইনকে (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীমউদদীন হল শাখা) ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।

খালেদ খান রবিনকেও স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। একই দিন শনিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪শে নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খালেদ লিখেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধীতা করছি। একটা কথা স্পষ্ট হওয়া উচিত যে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধীতা করা আর বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করা এক বিষয় না। আর এই একটি কথার জন্য যদি ছাত্রলীগের জন্য দেওয়া আমার হাজার দিনের শ্রম এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে… আলহামদুলিল্লাহ।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *