বলিউডের বহু চর্চিত ছবির সঙ্গে মিলে গেল মুম্বাইয়ের এক তরুণী সঞ্চালিকার জীবন। অঙ্কিতা তিওয়ারি।
তাঁর এক বন্ধু তাঁর রহস্য মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি যা বলেছেন তাতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে সঞ্চালিকা অঙ্কিতার মৃ্ত্যু ঘিরে।
গত রবিবার দিন রাতে অঙ্কিতার বহুতলের তলায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কার্যত অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল ওই সঞ্চালিকার মৃতদেহ। আত্মহত্যা করলেও কেন এরকম অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে যখন ধন্দে পুলিশ ঠিক তখনই ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করছে অঙ্কিতার বন্ধুর মন্তব্য। তিনি নিজের কথার প্রমাণ হিসেবে একটি ফেসবুক চ্যাটও তুলে ধরেছেন তিনি।
ওই দিন অমিত কুমার হাজরা এবং তাঁর বন্ধুরা অঙ্কিতার বাড়িতে মদ্যপানের প্ল্যান করেছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার ইঙ্গিতও দেওয়া ছিল। মানে সেটাও ছিল তাঁদের প্ল্যানিং লিস্টে।
অঙ্কিতার বন্ধুর সাফ দাবি। অঙ্কিতা যদি এ চারজন পুরুষের সঙ্গে শুতেন তাহলে তাঁকে মরতে হত না। এ যেন ফিল্ম পিঙ্ক-এর সিক্যুয়াল।
লাকি নামে অঙ্কিতার এই বন্ধু জানিয়েছেন, যেভাবে পিঙ্কে মেয়েটি মদ্য পানে যোগদান করেছিল তাই তাঁকে শয্যাসঙ্গিনী করা যায় মনে করেছিলেন, ঠিক সেরকমই অঙ্কিতার বয়ফ্রেন্ড ও তাঁর বন্ধুরাও ভেবেছিলেন অঙ্কিতা-র সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
এর আগের তথ্য অনুযায়ী ৩০ বছরের অ্যানিমেশন এক্সপার্ট পঙ্কজের সঙ্গে মানবস্তাল হাইটের ১৯ তলায় এক বন্ধুর বাড়িতে আসেন রাত তিনটার সময়। তারপর চারটার সময় তাঁরা শুতে চলে যান। সকাল সাতটার সময় তৃতীয় তলার একটা জায়গায় আটকে থাকা মৃতদেহ দেখা যায়।
এর আগে অঙ্কিতার পরিবার ও লাকি সকলেই জানিয়েছেন নিজের প্রেমিক পঙ্কজ যাদবের সঙ্গে সম্পর্কে বিভিন্ন গন্ডগোল ছিল।