ধর্ষণের বিচার চেয়ে জেলে বাবা

Slider বরিশাল

rape_2_0_1_0

 

 

 

 

বরগুনার তালতলীতে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় এক বাবাকে জেলে যেতে হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানান ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও নির্যাতিত কিশোরীর মা।

পরে এই নারী বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছর বিভিন্ন সময়ে তালতলী উপজেলার সওদাগরপাড়া গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে আল-আমিন (২২) প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর আল-আমিনকে আসামি করে তালতলী থানায় একটি মামলা করেন কিশোরীটির মা। মামলার পর বরগুনার পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট হলে ৩১ নভেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই কিশোরীর বাবা ও মাকে আসামি করে আড়াই লাখ টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন আল-আমিনের বাবা। এ মামলায় ৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হন কিশোরীর বাবা। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠান।

নির্যাতিত কিশোরীর মা বলেন, ‘গরিব মানুষের জন্য কোনো বিচার নাই। গরিবের পাশে কেউ নাই। দুনিয়ার সবাই জানে আমার মেয়েডারে ধর্ষণ করেছে আল-আমিন।

এ ঘটনায় আমরা মামলাও করলাম। মামলায় ধর্ষকের কিছুই হলো না। অথচ বিনা দোষে জেলে গেল আমার স্বামী। ’

তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ধর্ষণের মামলায় তাঁরা সাক্ষ্য নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরা ধর্ষণের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। আসামি আল-আমিন পলাতক।

বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ দায়েরের আগেই ভুক্তভোগী পরিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানায়। তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে তালতলী থানার ওসিকে মামলা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় তালতলী থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *