ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে উদাও ওসি প্রদীপ সহ সব আসামী!

Slider জাতীয় টপ নিউজ

কক্সবাজার: গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতরাতে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।
পরোয়ানা জারির পর এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোনো আসামির গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষকরে ওসি প্রদীপ কুমার দাস এখন কোথায় তা নিয়ে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। গতকাল বিকালে প্রথমে খবর পাওয়া যায় যে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটিতে গেছেন। পরে জানা যায়, তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলি। যিনি সিনহাকে গুলি করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রদীপ কুমার দাসকে করা হয়েছে ২ নম্বর আসামি।

এজাহারে বলা হয়েছে, গুলি করার আগে লিয়াকত তার সঙ্গে ফোনে পরামর্শ করেছিলেন। ওসির প্ররোচনা ও নির্দেশনাতেই লিয়াকত ঠাণ্ডা মাথায় সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে প্রদীপ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিনহার মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পায়ের জুতা দিয়ে আঘাত করে বিকৃত করার চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ ছাড়াও একাধিক কথিত ক্রসফায়ারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেছে। কক্সবাজার মেরিন জোন তার নেতৃত্বে অনেকটা ক্রসফায়ার জোন হয়ে ওঠে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *