গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশে মুক্তি পায় কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত কলকাতার ছবি ককপিট। এতে ভারতের কলকাতার দেব, কোয়েল মল্লিক, রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক রোশান। সম্প্রতি নতুন ছবি বেপরোয়ার শুটিং শেষ করে রোশান জানালেন তাঁর নতুন কর্মপরিকল্পনার কথা।
কেমন আছেন?
ভালো আছি। তবে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। বেশ ধকল গেল।
ভারতের হায়দরাবাদের রামুজিতে ‘বেপরোয়া’ ছবির জন্য অনেক দিন ধরে শুটিং করে ফিরলেন। কেমন ছিল সেখানকার অভিজ্ঞতা?
এই প্রথম আমাকে ঘিরে কোনো ছবির গল্প। ছবিটি আমার জন্য বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ দিন শিডিউল ছিল, ৩০ দিনই শুটিং করেছি। টানা ২০ দিন ভাত খাইনি। ১৫ দিনে ৪ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল। ভোর ৬টায় কল টাইম থাকত, শুটিং হতো রাত ৯টা পর্যন্ত। সাড়ে ৯টায় হোটেলে ফিরে ১১টার মধ্যে বিছানায়। এক দিনও বিশ্রাম পাইনি। এমনকি শহরে গিয়ে যে টুকটাক শপিং করব, সেই সুযোগও ছিল না। ফল হচ্ছে, ভালো একটি কাজ হয়েছে। সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি।
ছবির সব কাজ শেষ?
তিনটি গান শুট করা বাকি।
নতুন ছবির প্রস্তাব পাচ্ছেন?
প্রচুর কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। কলকাতা থেকে অনেক ছবির অফার এসেছে। দেখি, যদি শিডিউল দিতে পারি, কাজ করব। ফেব্রুয়ারিতে যৌথ প্রযোজনার একটি বড় বাজেটের ছবির কাজ শুরু হতে পারে। বেপরোয়ার পর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।
যৌথ প্রযোজনা, জাজ ও কলকাতায় কাজ করলেন। এর বাইরে মূলধারার ঢালিউডের ছবিতে কাজ করবেন? করলে কবে থেকে?
সুযোগ এলেই করব। কিন্তু ওই পরিচালকদের কাছ থেকেও পেশাদার আচরণ প্রত্যাশা করব। শিডিউলের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে বাড়তি খরচ গুনতে হবে তাঁদেরই। ছবি যেখানকারই হোক, কাহিনি ভালো হলেই করব।
‘ককপিট’ ছবির কলকাতা প্রিমিয়ারে গেলেন না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখবেন ছবিটি?
ইচ্ছা আছে। মাত্র তো দেশে মুক্তি পেল। দু–এক দিনের মধ্যেই হলে গিয়ে দেখব ছবিটি। এমন একটি ছবির অংশীদার হতে পেরে ভালো লাগছে। তবে এই ছবি নিয়ে আমার একটা আক্ষেপও আছে। জাজের অফিসে ছবির কিছু অংশ দেখেছিলাম। নিজের কণ্ঠ নিজেই চিনতে পারিনি। বেজটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়তো ছবির স্বার্থে সেটা করা হয়েছে। কিন্তু নিজেকে নিজের মতো করে পাইনি সেখানে।