আঁধার যতই কালো হোক প্রভাতে সুর্য উঠবেই

Slider গ্রাম বাংলা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

24323707_1999715736942134_392563302_o

 

 

 

সোলায়মান সাব্বির, গাজীপুর অফিস: আঁধার যতই কালো হোক প্রভাতে সুর্য উঠবেই, বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা এবং গাজীপুর জেলা জাসাসের সভাপতি  সৈয়দ হাসান জুন্নুরাইন সোহেল।  তিনি বলেন, এখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গাজীপুর জেলার রাজনৈতিক হালচাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা নেতাদের ধারাবাহিক সাক্ষাতকার পর্বে এবার গ্রামাবংলানিউজের মুখোমুখি হন তিনি। এক দিকে শিল্পপতি, অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতা পাশাপাশি  পর্দায় জনপ্রিয় অভিনেতাও তিনি।  জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টি যে কয়জন শিল্পী তৈরী হয়েছেন তাদের মধ্যে সোহেল একজন।  দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় ও বিনয়ী চারিত্রিক গুণাবলী সম্পন্ন  এই রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতার দৃষ্টিতে সমসাময়িক রাজনীতি কেমন চলছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভবিষৎ গঠনে প্রকাশিত হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ন অভিমত।

সম্প্রতি গ্রামবাংলানিউজ টিমের সঙ্গে একান্ত কথা বলেন তিনি। তার সাক্ষাতকার তুলে ধরা হলো।

গ্রামবাংলা নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রামবাংলা নিউজঃ

আপনার রাজনৈতিক বর্নার্ঢ্য জীবন কেমন ছিল এবং চলছে?

সৈয়দ হাসান জুন্নুরাইন সোহেলঃ

বর্নার্ঢ্য জীবন কিনা সেটা ঠিক বলতে পারব না ,আমি মনে করি আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একজন কর্মী।আমাকে কেউ কখনও রাজনিতীতে আনে নাই।জিয়াউর রহমান সাহেবকে খুব ভালো লাগত,ওনার লাইফস্টাইল আমার খুব ভালো লাগত।সেই ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা আর সেই থেকেই জিয়ার আদর্শের সৈনিক ও ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে নিজেকে দলের জন্য সমর্পন করেছি।একটা কথা না বললেই নয়, আমার বাবা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন এবং আমার ছোট ভাই আমার বাবাকে বলত বাবা আমি জিয়া হব।আমার পরিবারটাই জিয়া সমর্থক পরিবার ছিল।যেদিন জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয় সেদিন আমাদের বাড়িতে রান্না হয় নাই।সারাদেশ সেদিন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।সেই থেকেই অনুপ্রেরিত হয়ে নিজেকে জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসাবে সমর্পন করি। ৮৪ সনে রাজনীতি শুরু হলেও মুল ধারার রাজনীতি শুরুটা হয়েছিল ৯০এর গন আন্দোলনের সময়।সেই সময় কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের কর্মী ছিলাম এবং সিনিয়র অনেক ভাইদের সাথে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত রাজপথেই আছি।আসলে বলতে গেলে বলতে হয়,বিমানবন্দরের নাম মুছে ফেলা গেলেও মানুষের হ্রদয়ে যে নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা আছে সেটা কি করে মুছবেন?তবে একটা কথা বলতেই হবে যখনই আমরা আন্দোলনে নামি তখনই আমরা নেতৃত্বের স্বাদ পাই এবং তা ইতিহাসে প্রমানিত।

গ্রামবাংলা নিউজঃ

গাজীপুরে বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা কেমন?

সৈয়দ হাসান জুন্নুরাইন সোহেলঃ

গাজীপুরে বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা চমৎকার।যখন জননেতা ফজলুল হক মিলন এমপি এবং কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল গাজীপুর জেলা বিএনপির দায়িত্ব নিয়েছেন তখন আমরা যারা সাবেক ছাত্রনেতা ছিলাম তারা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে এসেছি,বর্তমানে আমি জেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক।জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আছি এবং থাকব।ব্যাবসা আমার পেশা কিন্তু রাজনীতি  এবং অভিনয় আমার নেশা,তবুও কিন্তু আমাকে কিছুসংখ্যক মামলা বহন করতে হচ্ছে।নিজের বাসস্থান গাজীপুরে থাকতে পারিনা,এমনকি ঘরথেকে বের হওয়ার পর পরিবার বন্ধুবান্দধব এবং আত্মীয়স্বজনরা চিন্তায় থাকেন ঘরে ফিরতে পারব কিনা।তবে যাই হোক আমরা রাজপথে ছিলাম আছি এবং থাকব।আমরা এখন আধারে আছি কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে এবং জনগনের ভোটে আমরা নির্বাচিত হব এই প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

গ্রামবাংলা নিউজঃ

গাজীপুর মহানগর বিএনপির কমিটিতে আপনি কি রকম নেতৃত্ব দেখতে চান?

সৈয়দ হাসান জুন্নরাইন সোহেলঃ

গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে নবীন প্রবীনের সংমিশ্রনে একটি শক্তিশালী কমিটি দেখতে চাই।এক্ষেত্রে আমি মনে করি ৯০ এর সফল নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত।আমাদের জেলার অভিভাবক আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকার সাহেব এবং ফজলুল হক মিলন এমপি সহ সকলের বিচক্ষনতায় একটি কার্যকরী শক্তিশালী কমিটি হবে বলে আমি আশা করি।

গ্রামবাংলা নিউজঃ

আপনি কি মহানগর বিএনপির কোন গুরুত্বপুর্ন পদে আসতে চান?

সৈয়দ হাসান জুন্নুরাইন সোহেলঃ

আমি গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী।আমি মহানগর বিএনপির গুরুত্বপুর্ন পদে না আসতে পারলেও নতুন কমিটিকে স্বাগত জানাব কারন আমি জিয়ার আদর্শের সৈনিক।

গ্রামবাংলা নিউজঃ

আমরা শুনেছি আপনি গাজীপুর ২ আসনের এমপি প্রার্থী,মনোনয়নের ব্যাপারে কিছু বলেন?

সৈয়দ হাসান জুন্নুরাইন সোহেলঃ

আসলে সকলেরই তো একটা আশা থাকে আর না চাইলে মা ও দুধ দেয় না।সেইক্ষেত্রে দলের কাছে নমিনেশন চাইব হয়ত অনেকে চাইবে।চাওয়ার অর্থ এই না যে নমিনেশন না দিলে কস্ট পাব।আমি মানুষ চিনি না প্রতিক চিনি,যার কাছে ধানের শীষ প্রতিক আসবে তার হয়েই কাজ করব এবং সকলের  এইটাই করা উচিত ।আমাদের যারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আছেন তাদের আসলে জানা দরকার যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সাবেক সফল ছাত্রনেতা গাজীপুরে আছে এখন না হোক আগামীতে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দেওয়াই যায়। আমি একটা কথা বলে শেষ করতে চাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ‘’ব্যাক্তির চাইতে দল বড় ,দলের চাইতে দেশ’’।আমি আমৃত্যু জিয়ার সৈনিক এবং ধানের শীষের কর্মী হয়েই থাকতে চাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *