জাতীয় সংসদে ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ন নিয়ে নোটিশ দিয়েও জবাব পাননি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। এনিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, আমি সংসদ সদস্য (এমপি), আমি অসহায়, তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে?
আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর আগে ডেপুটি স্পিকার জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলার পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, এভাবে না বলে নোটিশ দিলেই বেশি কার্যকর হতো।
ক্ষুব্ধ শামীম ওসমান ডেপুটি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেকোনো বিষয়ে আপনি নোটিশ দেওয়ার জন্য বলেন। এখানে আমি একজন অসহায় সংসদ সদস্য। এই সংসদে আমার ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ন নিয়ে নোটিশ দিয়েছিলাম। ওই নোটিশ দেওয়ার পর ৮টা অধিবেশন চলে গেল। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জবাব পেলাম না। তিনি বলেন, এই সংসদের দশম অধিবেশেনে একটা অসত্য তথ্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মুখ দিয়ে বলানো হয়।
তখন আমি বলেছিলাম সম্পূর্ণ তথ্যটাই মিথ্যা। সংসদে অসত্য তথ্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছিল, দুর্নীতির পাঠানো হয়েছিল দুদকে। আমি তখনো নোটিশ দিয়েছিলাম।
ওই সংসদ সদস্য আরো বলেন, আপনি তো বললেন, নোটিশ দিতে। আমি একজন সংসদ সদস্য হয়ে দশম অধিবেশনে ও ১৪তম অধিবেশনে নোটিশ দিলাম। কিন্তু তার রেজাল্ট না পাইলে আমার কী করণীয়? আপনার কাছে জানতে চাই। এমপি হিসেবে আমি মনে করি আমি এখানে অসহায়। তাহলে সাধারণের মানুষের কী হবে?
এরপর ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনার বিষয়টি আমি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। পাশাপাশি এই সংসদের মাধ্যমে সংসদ সচিবালয়কে বলব, মাননীয় সংসদ সদস্যের নোটিশের জবাব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।