গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে শামামী বেগম সুমি (২৮) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যৌতুক ও গ্রাম্য দলাদলির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বেজড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বাবা রওশন আলী ভূঁইয়া জানান, ১২-১৩ বছর আগে একই গ্রামের হাফিজুর মোল্লার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তখন জামাইকে ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২-৩ বছর পর হাফিজুর মোল্লা ঘর নির্মাণের জন্য টাকা চায়। তখন জামাইকে টিন ও কাঠ কেনা বাবদ ৪৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি কাশেম ভূঁইয়া ও আদর মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ বাঁধে। জামাই কাশেম ভূঁইয়ার পক্ষ নেয় আর আমি আমার ভগ্নে আদর মোল্লার পক্ষ নিই। এ ঘটনার পর থেকে জামাই আমার ওপর রাগ করে আমার মেয়েকে প্রায়ই মারপিট করতো। গতকাল শুক্রবার রাতে সে আবার ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়েকে মারপিট ও শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে তার মুখের মধ্যে গুল ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায় ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সবুজ আহমেদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। তবে, তার মুখে গুল পাওয়া গেছে। মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এটা হত্যা না আত্মহত্যা- তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, নিহতের দুইটি দাঁত নড়বড়ে অবস্থায় পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে।
নিহতের বাবা রওশন আলী ভূঁইয়া জানান, ১২-১৩ বছর আগে একই গ্রামের হাফিজুর মোল্লার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তখন জামাইকে ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২-৩ বছর পর হাফিজুর মোল্লা ঘর নির্মাণের জন্য টাকা চায়। তখন জামাইকে টিন ও কাঠ কেনা বাবদ ৪৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি কাশেম ভূঁইয়া ও আদর মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ বাঁধে। জামাই কাশেম ভূঁইয়ার পক্ষ নেয় আর আমি আমার ভগ্নে আদর মোল্লার পক্ষ নিই। এ ঘটনার পর থেকে জামাই আমার ওপর রাগ করে আমার মেয়েকে প্রায়ই মারপিট করতো। গতকাল শুক্রবার রাতে সে আবার ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়েকে মারপিট ও শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে তার মুখের মধ্যে গুল ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায় ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সবুজ আহমেদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। তবে, তার মুখে গুল পাওয়া গেছে। মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এটা হত্যা না আত্মহত্যা- তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, নিহতের দুইটি দাঁত নড়বড়ে অবস্থায় পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে।