নিহত দুই পরীক্ষার্থী হলো নাদিরা আক্তার ও সোনিয়া আক্তার। নাদিরা আক্তার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমোজা গ্রামের সৈয়দ হোসেনের মেয়ে এবং সোনিয়া আক্তার একই ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ে। লাশ দুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী নৌকাযোগে থানাকান্দি থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে রওনা হয়। তাদের পরীক্ষার আসন পড়েছিল কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজে। থানাকান্দি থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাওয়ার সময় তিতাস নদে পুঁতে রাখা একটি বাঁশের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিক্ষার্থী দুজনকে কৃষ্ণনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বীরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জহির রায়হান দাবি করেন, নৌকাডুবির ঘটনায় পাঁচজন পরীক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা আজহারুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিক্ষার্থী দুজন মারা গেছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার নৌকাডুবিতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ থেকে সারা দেশে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বীরগাঁও উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার ২৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এই ২৯৮ জন আজ সকালে থানাকান্দি থেকে দুটি নৌকাযোগে কৃষ্ণনগরের দিকে রওনা দেয়।