প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় স্বামীকে মোটেও পছন্দ ছিল না নববিবাহিতা স্ত্রীর। এ কারণে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে সেই পরিকল্পনার একটু ভুলে স্বামী নয়, শ্বশুরবাড়ির ১৩ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুজাফফরগড়ে দুধের সঙ্গে বিষ মেশানোয় ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তার গৃহবধূর নাম আসিয়া।
মুজাফফরগড় পুলিশ জানায়, দুই মাস আগে আসিয়ার সঙ্গে মুজাফফরগড়ের আমজাদের বিয়ে হয়। কিন্তু এই বিয়েতে আসিয়ার মত ছিল না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে হওয়ার কারণে প্রেমিকের সঙ্গেও সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এ কারণে তিনি স্বামী আমজাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গতকাল তিনি সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেন। কিন্তু কোনো কারণে সেদিন আমজাদ দুধ খাননি। সেই দুধ দিয়ে লাচ্ছি তৈরি করেছিলেন আসিয়ার শাশুড়ি। শিশুসহ বাড়ির ২৭ জন সদস্য সেই লাচ্ছি খায়। এ কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে সবাই। পরে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মুজাফফরগড় জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নাজিম আলি বলেন, দুধে মেশানোর জন্য বিষ আসিয়াকে তাঁর প্রেমিক দিয়েছিলেন। এর আগেও একবার এ রকম চেষ্টা করে বাবার বাড়ি পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, প্রথমে সবাই ধারণা করেছিলেন যে দুধে টিকটিকি পড়ায় বিষক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে পুলিশ হেফাজতে আসিয়া স্বীকার করেছেন, তিনি স্বামী আমজাদকে হত্যার উদ্দেশ্যেই দুধে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন।