নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ সমাজ গঠনে সফলতা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।
বাহামার রাজধানী নাসাউ-এ বুধবার অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের আইনমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদান শেষে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সাথে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠককালে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসংসা করেন।
কমনওয়েলথে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের সরকার প্রধানদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান ও তাঁর মুখ্য ভূমিকা পালনের আশা ব্যক্ত করেন। এছাড়া কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশের সুবিধার্থে বাংলাদেশের সফলতার কথাগুলো বেশি বেশি তুলে ধরার আহবান জানান মহাসচিব।
৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের আইনমন্ত্রী, অ্যাটোর্নি জেনারেল এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশে বিচার বিভাগে ই-জুডিসিয়ারি বিষয়ক কার্যক্রমসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
এর আগে সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নের পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকান্ড ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ড মামলার বিচার করেছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করছে।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী কমনওয়েলথের সকল মূল্যবোধ ও কার্যক্রমের প্রতি বাংলদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করার কারণে কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলদেশের যে প্রশংসা করেছেন সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আইনমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান তুলে ধরেন।