আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ফাইনাল খেলা বলেছেন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শুরুর আগে স্লোগান দেন। তিনি বলেন, ‘নৌকা, শেখ হাসিনা’। এরপর নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এভাবে প্রায় দুই মিনিট স্লোগান দেওয়া শেষে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মেসেজ (বার্তা) দিয়ে দিলাম। নৌকা চলবে। সামনে কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এটা সেমিফাইনাল। তারপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হবে ফাইনাল খেলা।’
নির্বাচন সামনে রেখে ভাষণ দিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন অ্যাকশনের সময়।’ তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, এমন লোকদের দলের সদস্য করতে হবে। জোর-জবরদস্তি করে কাউকে দলের সদস্য করা যাবে না। এ ছাড়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং সাম্প্রদায়িক কাউকে দলে নেওয়া যাবে না।
বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত না হতে দলের নেতা-কর্মীদের উপদেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখনো এলোমেলো পার্টি। এখনো কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি।’ তিনি বলেন, বিএনপি সব ইস্যুতে ধপ করে জ্বলে ওঠে আবার ধপ করে নিভে যায়। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা বেশি জনপ্রিয়। খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা আরও উন্নত, সাহসী ও উত্তম। জনগণের কাছে শেখ হাসিনা আরও বেশি গ্রহণযোগ্য।
দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের কাছে কিছু চাই না। ঐক্য চাই। আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা বিজয়ী হব।’ তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৯৫ শতাংশ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় গ্রামের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারকে আরেকবার চায়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের দু-একটি দল ছাড়া সারা বিশ্বের সবাই আওয়ামী লীগের অর্জনে সন্তুষ্ট। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সব জায়গায় শেখ হাসিনার প্রশংসা হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার অর্জন ও উন্নয়নই যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন অনেক বড় দল। কর্মিসভা ডাকলে, জনসভায় রূপ নেয়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।