ব্যায়ামে ধারাবাহিকতা না থাকলে সুফল খুব একটা পাওয়া যায় না। একদিন করলাম, তারপর তিন দিন কোনো খবর নেই—এভাবে হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি মানের ব্যায়াম (যেমন হাঁটা) করা যথেষ্ট, কিন্তু এক দিনের বেশি বিরতি দেওয়া চলবে না। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন। প্রতিদিন ব্যায়াম বা হাঁটার এই উদ্দীপনা কীভাবে বাড়ানো যায়?
যে ধরনের ব্যায়াম করতে ভালো লাগে, সেটিই করুন। কঠিন কিছু বেছে নিলে কদিন পরই আগ্রহ চলে যাবে। তাই হাঁটা, জগিং, সাঁতরানো বা সাইক্লিং হতে পারে আপনার পছন্দ। জিম করলে কাছাকাছি জায়গা বেছে নিন। ব্যায়ামটা যেন আপনার জীবনের ওপর বাড়তি বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যায়ামের সঙ্গী হিসেবে কাউকে বেছে নিতে পারেন। কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্য সঙ্গে থাকলে সময়টাও ভালো কাটল। এ ক্ষেত্রে বাড়তি লাভ হলো ব্যায়ামটা নিয়মিত হবে।
ব্যায়ামের মাঝে আনন্দ খুঁজে নিন। জোর করে করতে হচ্ছে এমনটা ভাবলে ক্লান্তি আসবে। সময়টা উপভোগ করুন। যাঁরা গান শুনতে ভালোবাসেন, তাঁরা ব্যায়ামের সময় গান শুনতে পারেন। আবার ঘরে বা ব্যায়ামাগারে বদ্ধ পরিবেশে হাঁপিয়ে উঠলে বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। পছন্দের খেলাধুলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
ব্যায়ামের কারণে কী কী উপকার পাচ্ছেন, তা নিয়ে ভাবুন। এই ভাবনা উৎসাহ জোগাবে। নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করার জন্য অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। সকালে ব্যায়ামের অভ্যাস করলে রাতেই পোশাক-আশাক গুছিয়ে রাখার মতো কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
ব্যায়ামের জন্য নতুন জুতা বা পোশাক কিনে নিন। বিশেষ ধরনের ঘড়ি বা মোবাইল অ্যাপস অনেকে ব্যবহার করেন, যা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার পর বা কতটুকু ক্যালরি ক্ষয় হচ্ছে তা জানিয়ে দেয়। এতে উৎসাহ বাড়ে।
ব্যায়ামের কারণে নিজের ফিটনেস কতটা বাড়ল তা লিখে রাখতে পারেন। আগে কতটা ওজন তুলতে পারতেন, কতখানি দৌড়ালে হাঁপিয়ে যেতেন বা কত বেশি দূর যেতে পারেন এখন তা তুলনা করুন।