‘রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরত নিতে হবে’

Slider সারাবিশ্ব
'রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরত নিতে হবে'


জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার জন্য মিয়ানমার দায়ী, তাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে।

শুধু ফেরত নিলেই হবে না, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মর্যাদার সঙ্গে নাগরিক হিসেবে যাতে তারা বৈষম্যহীনভাবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেরত নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য মিয়ানমার সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইনে অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

গতকাল সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এসব কথা বলেন। স্বচক্ষে দেখা পরিস্থিতি এবং সংকট সমাধানের উপায় সম্পর্কে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনের বর্ণনা শুনে অধিবেশন ফেলে বাংলাদেশ সফরে আসেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। গত শনি ও রবিবার কক্সবাজার, কুতুপালংসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিয়ানমার থেকে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখেছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের মুখে শুনেছেন হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ বর্বরতার নানা কাহিনী।

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দেয় না। বরং কোনো শরণার্থী যাতে ঢুকতে না পারে, সে জন্য সীমান্ত সিলগালা করে দেয়। সেখানে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত ছয়-সাতবার সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ তাদের প্রতি যে আতিথেয়তা দেখিয়েছে, তাতে আমি আন্তরিকভাবে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *